বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ইউরোপের তিন দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য (যারা ইথ্রি নামে পরিচিত) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।
গত কয়েক দশক ধরে মার্কিন ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার মুখে থেকেও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে এসেছে ইরান। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা চুক্তি সই করে তেহরান, যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবেও অনুমোদিত হয়।
বিনিময়ে তেহরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলো অভিযোগ করছে, ইরান ওই চুক্তির একাধিক শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
আরও পড়ুন: ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে ‘প্রস্তুত’ ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য
চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে চুক্তি লঙ্ঘন হলে খুব দ্রুত নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা যায়।
ইথ্রি দেশগুলো আগেই সতর্ক করেছিল যে, আগামী অক্টোবরের মধ্যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ইরান যদি চুক্তির শর্ত মানতে ব্যর্থ হয়, তবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আবার চালু হতে পারে। সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশে এক যৌথ চিঠিতে স্পষ্ট এ বার্তা দেয় ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: ইরান মার্কিন দাবির প্রতি বাধ্য হবে না: খামেনি
চিঠিতে বলা হয়, পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে তারা ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত। আগস্টের শেষ নাগাদ আলোচনায় বসা বা সময়সীমা না বাড়ালে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে।
চলতি সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সূত্র: আল জাজিরা
]]>