ইরানে হামলার প্রতিবাদে ইসরাইলের রাজধানীতে বিক্ষোভ

২ সপ্তাহ আগে
ইরানে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন খোদ ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, নেতানিয়াহুর এমন পদক্ষেপে ভেস্তে যেতে পারে হামাসের হাতে জিম্মি মুক্তির সম্ভাবনা। শুধু তেল আবিবই নয়, গাজা ও ইরানে হামলার প্রতিবাদে ইরাকের বাগদাদেও আন্দোলন করেছেন সাধারণ মানুষ। লন্ডন ও বার্লিনে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনের পাশাপাশি শাহপন্থি ইরানিরা ইসরাইলের পক্ষে মিছিল বের করেন।

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত বিশ্বজুড়ে এক নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। শনিবার (২১ জুন) ইসরাইলের তেল আবিবে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামে শত শত মানুষ। তারা সরাসরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং দাবি করেন ইসরাইল-ইরান উত্তেজনার আড়ালে গাজায় আটক ইসরাইলি জিম্মিদের বিষয়টি উপেক্ষিত হচ্ছে।

 

আন্দোলনকারীদের জানান, এখনো অন্তত ৫৩ জন ইসরাইলি গাজায় বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জনের বেশি জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

একজন আন্দোলনকারী বলেন, 

আমার দৃষ্টিতে হামাসের কাছে ইসরাইলি জিম্মিদের বিষয়টি এখন একেবারেই উপেক্ষিত। কারণ ইসরাইলের সরকার এবং পুরো দুনিয়া এখন শুধু ইসরাইল-ইরান সংঘাতের দিকেই তাকিয়ে আছে, আর সবাই জিম্মিদের কথা ভুলে গেছে।

 

আরও পড়ুন:  ইরানের হামলার আশঙ্কায় আকাশসীমা বন্ধ করলো ইসরাইল

 

একই দিনে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে, শিয়া অধ্যুষিত কাধিমিয়া এলাকায়, হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা ইরানের ওপর ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। বিক্ষোভকারীরা একে ইসলামি রাষ্ট্রের ওপর আগ্রাসন হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তেহরানের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন।

 

তারা বলেন, 

ইরানের ওপর কোনো হামলা মানে গোটা ইসলামি জাতির ওপর হামলা। আর ইরাকি জনগণ নিরপেক্ষ থাকতে পারে না। ইরাকি জনগণ ইসলামি জাতিরই অংশ, এবং তারা এই হামলার নিন্দা জানায়। আমরা এই লড়াইয়ে আমাদের মানুষ, অর্থ এবং রাজনৈতিক অবস্থানের মাধ্যমে অংশ নিচ্ছি।

 

এদিকে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একদিকে ছিল হাজারো ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী, অন্যদিকে ইসরাইল ও শাহপন্থি ইরানিদের একটি ছোট কিন্তু সুসংগঠিত সমাবেশ। একে অপরের পাশ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করলেও, দুপক্ষের বার্তা ছিল একেবারেই বিপরীতমুখী।

 

আরও পড়ুন: ফোরদোর কাছাকাছি বাসিন্দারা ‘ঝুঁকিমুক্ত’, বলছে ইরান

 

জার্মানির বার্লিনে ইসরাইলের হামলার পক্ষে এবং ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের সমর্থনে রাস্তায় জড়ো হন স্থানীয় ইসলামি প্রজাতন্ত্রবিরোধী ইরানি প্রবাসীরা। তারা জানান, তেহরানের সামগ্রিক উন্নতির জন্য শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থিরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন