ইরানে হামলার পর ট্রাম্প-নেতানিয়াহু ফোনালাপ, কী কথা হলো?

২ সপ্তাহ আগে
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফোনে কথা বলেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফোনে কথা বলেছেন।

 

হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইরানে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।

 

পরে এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এই হামলা ‘ইতিহাস বদলে দেবে’।

আরও পড়ুন: ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

 

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অভিনন্দন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ আর ন্যায়নিষ্ঠ শক্তি দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়ে আপনার দৃঢ় সিদ্ধান্ত ইতিহাসকে বদলে দেবে।’

 

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি এমন বোমা যা ভূগর্ভস্থ সুসুরক্ষিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম।

 

এর আগে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা-ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে-খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’

 

আরও পড়ুন: ফোরদোর কিছু অংশ ‘শত্রুর বিমান হামলায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জানাল ইরান

 

ট্রাম্প একটি ওপেন-সোর্স ইন্টেলিজেন্স একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা নাই হয়ে গেছে।

 

উল্লেখ্য, ফোরদো ইরানের গোপন এবং সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি। প্রাচীন কোম প্রদেশে এক পাহাড়ের গভীরে থাকা এই স্থাপনাটি ইসরাইলি অন্যতম প্রধান ও জটিল লক্ষ্যবস্তু।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন