ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা

৩ সপ্তাহ আগে
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রত্যাঘাতের পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার জরুরিকালীন বৈঠক করতে চলেছে। পরিষদের প্রেসিডেন্ট সুইজারল্যান্ড বলেছে, আলজেরিয়া, চীন ও রাশিয়ার সমর্থনে ইরান এই বৈঠকের অনুরোধ করেছে। ১৫ সদস্যের পরিষদকে শনিবার এক চিঠিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, “ইসরায়েল সরকারের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি এবং ইতোমধ্যে ভঙ্গুর অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।” শনিবার ভোরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাকে নিশানা করে ইসরায়েল বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরানের প্রক্সি গাজা ভূখণ্ডের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের আবহে ইরান প্রায় ২০০টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল ইসরায়েলে। এরই কয়েক সপ্তাহ পরে ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই প্রত্যাঘাতের আহ্বান থামাতে গিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি হামলাকে “অতিরঞ্জিত বা ছোট করে দেখা উচিত নয়।” ইসরায়েলের প্রধান শত্রুর উপর এটাই তাদের প্রথম প্রকাশ্য হামলা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার বলেছেন, এই হামলায় ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে; ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতাকে ক্ষতি করা গেছে এই হামলার মাধ্যমে। সোমবার পরিষদের বৈঠকের আগে ইরাক জাতিসংঘের কাছে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। ইরাকি সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরাকের আকাশসীমা ও সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করার জন্য ইসরায়েলকে নিন্দা করা হয়েছে উক্ত চিঠিতে। ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে নতুনভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টায়ার শহরে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি রবিবার গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে দুই দিনের বিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। এল-সিসির এই পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল বা হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও জবাব দেয়নি। এদিকে, ইসরায়েলের মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি ও যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ প্রধান উইলিয়ম বার্নসের সঙ্গে বৈঠক করতে রবিবার দোহার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। হামাস ও হিজবুল্লাহকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী গোষ্টী হিসেবে বিবেচনা করে।
সম্পূর্ণ পড়ুন