বুধবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সম্প্রতি ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আইআরআইবি জানিয়েছে ‘দেশটির সরকার নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য ‘লোকেশন-ভিত্তিক অ্যাপ’ ব্যবহার না করতে বলেছে। তাদের দাবি, এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করে ইসরায়েল ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্ত করে হামলা চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের হুমকির পর খামেনির বার্তা, ‘যুদ্ধ শুরু হলো’
তবে এই অভিযোগের পর মেটা মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ এক বিবৃতিতে এসব দাবিকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে, এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে এমন একটি সময়েও আমাদের সেবা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে-যখন মানুষ সবচেয়ে বেশি আমাদের দরকার।’
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অ্যাপে পাঠানো সব বার্তা ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড’, অর্থাৎ শুধু প্রেরক ও গ্রাহক বার্তাটি পড়তে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপ নিজেও বার্তাগুলোর কপি রাখতে পারে না বা সেগুলো পড়তে পারে না।’
হোয়াটসঅ্যাপের আরও জানায়, ‘ব্যবহারকারীর সুনির্দিষ্ট অবস্থানও ট্র্যাক করা হয় না এবং কে কাকে মেসেজ পাঠাচ্ছে, তারও কোনও লগ সংরক্ষণ করা হয় না। হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা কোনও সরকারের কাছে বড় আকারে ব্যবহারকারীর তথ্য সরবরাহ করি না।’
]]>