ইরানি-আমেরিকান সাংবাদিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল ইরান

৪ সপ্তাহ আগে
রেজা ওয়ালিজাদেহর আইনজীবী শনিবার বলেন, ইরানের একটি আদালত ইরানী-আমেরিকান সাংবাদিকটিকে শত্রু সরকারের সাথে সহযোগিতা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। রেজা ওয়ালিজাদেহ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অর্থায়নকৃত ভয়েস অফ আমেরিকার ফারসি ভাষা বিভাগের একজন সাবেক সাংবাদিক এবং তিনি রেডিও ফারদাতে কাজ করেছেন। রেডিও ফারদা রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির অধীনে একটি  মাধ্যম, যা ইউ এস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। ওয়ালিজাদেহের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন আঘাসি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, তেহরান বিপ্লবী আদালত তার মক্কেলের বিরুদ্ধে "শত্রু যুক্তরাষ্ট সরকারের সাথে সহযোগিতা করার" অভিযোগে প্রথম দৃষ্টান্ত হিসেবে   রায় দিয়েছে।   আঘাসি বলেন, রায়টি এক সপ্তাহ আগে তাদের কাছে পৌঁছিয়েছে কাজেই  ২০ দিনের মধ্যে আপিল করা যেতে পারে।  তিনি আরও বলেন, রায় জারির পর থেকে তিনি ওয়ালিজাদেহের সাথে দেখা করতে পারেননি। আগস্টে, ওয়ালিজাদেহ দৃশ্যত দুটি বার্তা পোস্ট করেন, যা থেকে বোঝা যায় যে তিনি ইরানে ফিরে এসেছেন, যদিও রেডিও ফারদাকে ইরানের ধর্মতান্ত্রিক সরকার শত্রু মাধ্যম হিসেবে দেখে। বার্তাটিতে আংশিকভাবে লেখা ছিল, “আমি ২০২৪ সালের ৬ মার্চ তেহরানে পৌঁছেছি। এর আগে, [বিপ্লবী গার্ডের] গোয়েন্দা বিভাগের সাথে আমার আলোচনা অসমাপ্ত ছিল। অবশেষে আমি ১৩ বছর পর কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়াই আমার দেশে ফিরে এসেছি, এমনকি মৌখিক নিশ্চয়তাও নেই।” আঘাসি জানান, আসার পর প্রথম ছয় মাস তিনি মুক্ত ছিলেন এবং পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নভেম্বরের শুরুতে, ভয়েস অফ আমেরিকার  ফারসি বিভাগের  একজন সাবেক সাংবাদিক কিয়ানুশ সানজারি, দেশটির সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ইরানের রাজধানীতে একটি ভবন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪২ বছর বয়সী সানজারি এর আগে দেশটিতে আটক চারজন বন্দীর মুক্তি দাবি করেন এবং তাদের মুক্তি না দিলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে, একজন সাবেক রেডিও ফারদা সম্প্রচারক, পারনাজ আজিমা তার অসুস্থ মাকে দেখতে ইরানে অল্প সময়ের জন্যে ফিরে যান। বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। কর্তৃপক্ষ তাকে দেশ ত্যাগে বাধা দেয় এবং নিরাপত্তা বাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার ডেকে পাঠায়। অবশেষে, তিনি জামিনে মুক্ত হন এবং আট মাস পরে দেশ ছাড়ার অনুমতি পান। ইরান পশ্চিমাদের সঙ্গে বিস্তৃত উত্তেজনার মধ্যে সম্প্রতি ২০২২ সালের মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভসহ বছরের পর বছর অস্থিরতার সম্মুখীন হয়েছে। চাকরির অভাব এখনও রয়েছে এবং দেশটির রিয়াল মুদ্রা যুক্তরাষ্ট্র ডলারের বিপরীতে বছরের পর বছর মূল্য হারানো অব্যাহত রেখেছে, যা ইরানিদের জীবন আরও কঠিন করে তুলছে।                  
সম্পূর্ণ পড়ুন