প্রতিবেদন মতে, তেহরান, তাবরিজ, ইসফাহান, শিরাজ, মাশাদ ও কমের পাশাপাশি ছোট ছোট শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ও ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেয়া হয়। ফিলিস্তিনের প্রতিও সংহতি জানান তারা।
প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ইসফাহানে জুমার নামাজের পর হাজার হাজার মুসল্লি বিক্ষোভে অংশ নেন। ইসরাইলি হামলায় নিহত একজন ইরানির জানাজায় যোগ দেন তারা।
এক্সে তেহরান টাইমসের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন ইরানি পতাকা এবং একজন ইউনিফর্ম পরিহিত সৈনিকের ছবি সম্বলিত কফিন বহন করছেন। তাদের পিছনে পুরুষ, নারী ও শিশুরা স্লোগান দিচ্ছেন ‘ইসরায়েলের পতন হোক’।
আরও পড়ুন: ইরানের মিসাইল হামলার ভয়ঙ্কর ভিডিও প্রকাশ
তেহরানের দক্ষিণে অবস্থিত পবিত্র শহর কোম এবং রাজধানীর পশ্চিম উপকণ্ঠ কারাজেও একই রকম জানাজা দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকে ইরান, ফিলিস্তিন ও হিজবুল্লাহর পতাকাও ওড়ান।
গত ১৩ জুন ইসরাইল বিনা উসকানিতে ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। পারমাণবিক কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ইরানের বহু সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ‘অপারেশন ট্রু প্রোমিজ ৩’ নামে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে তেহরান।
শুক্রবার (২০ জুন) সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইরানের সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা তীব্র করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। হামলা চললে কঠোর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ অবসানের একমাত্র পথ ইসরাইলের বিমান হামলা থামানো: ইরানের প্রেসিডেন্ট
হামলা পাল্টা হামলায় উভয় দেশে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং কয়েকশ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইরানি মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানে ইসরাইলি হামলায় ৬৩৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
]]>