পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের দ্বন্দ্ব থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার আর কোনো অংশ অবশিষ্ট নেই। এসব স্থানে পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে অনেক বছর লেগে যাবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানান, তেহরান আবারও পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করলে নতুন জায়গায় করতে হবে।
নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস অথবা ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলোকে আবার কাজে লাগাতে বছরের পর বছর সময় লাগবে। ইরান যদি তা করতে চায়, তাহলে সেগুলোতে আবারও হামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: হুতিরা ইরান-সমর্থিত হলে আইডিএফ মার্কিন-সমর্থিত নয় কেন, প্রশ্ন মামদানির
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গেল মাসে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের সেনাবাহিনীর অপারেশন বিভাগের উপপ্রধান মাহমুদ মুসাভি।
তিনি জানান, তেল আবিবের হামলায় তেহরানের কিছু ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বদলে ফেলা হয়েছে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কে আছে দেশীয়ভাবে তৈরি বাভার-৩৭৩ ও খোরদাদ-১৫-এর মতো ব্যবস্থা, যা ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরোধে সক্ষম।
আরও পড়ুন: ফের আগ্রাসন হলে প্রতিরোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ইরান: আরাঘচি
অন্যদিকে ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরমাণু বিষয়ক উপদেষ্টা আলি লারিজানি’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকে পুতিন মধ্যপ্রাচ্যকে স্থিতিশীল করতে এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি নতুন করে ইরানের সঙ্গে তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসবে বলে জানা গেছে।
]]>