ইরান ও ইসরাইলে থাকা নাগরিকদের সতর্ক করলো চীন

৩ সপ্তাহ আগে
ইসরাইল ও ইরানে থাকা নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে চীন।

শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরাইলে অবস্থিত চীনা দূতাবাস নাগরিকদের নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাইরে না যাওয়ার পাশাপাশি সামরিক ইউনিট ও সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের এলাকা এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, স্থলভাগে নিরাপত্তার অবস্থা ‘জটিল ও গুরুতর’।

 

অন্যদিকে, ইরানে অবস্থিত চীনা দূতাবাসও নাগরিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে: খামেনি

 

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যে দেশের বেসামরিক ও জননিরাপত্তার স্তর ‘প্রয়োজনীয় কার্যকলাপ’ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। এর আওতায় শিক্ষামূলক কার্যক্রম, সমাবেশ ও কর্মক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যা প্রয়োজনীয় ব্যবসা ব্যতীত।

 

এদিকে, ইরানের রাজধানীজুড়ে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তেহরানের বাসিন্দারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, তেহরানে নতুন করে ইসরাইলি হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

 

রয়টার্স জানিয়েছে, শহরের ওপর দিয়ে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে।

 

এর আগে ভোরে প্রথম দফায় হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, তারা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানে ইরানে আঘাত হেনেছে। টাইমস অফ ইসরাইলের বরাতে জানা গেছে, এই হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

 

ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই হামলাটি উচ্চমানের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে এবং এর মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা। দুই ডজনেরও বেশি জেট বিমানের সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযান ছিল নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত এবং সুনির্দিষ্ট।’

 

অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন, ‘এই হামলার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতাকে নিষ্ক্রিয় করা। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না আমরা মিশনটি সম্পন্ন করি।’

 

আরও পড়ুন: পাল্টা হামলার শঙ্কায় ইসরাইলজুড়ে সতর্কতা জারি

 

আর এই অভিযানের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, ভোরবেলায় ইহুদিবাদী সরকার আমাদের প্রিয় দেশের বুকে তার রক্তাক্ত ও কলুষিত হাত বিস্তার করেছে, আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে আগের থেকেও স্পষ্টভাবে তার বর্বর স্বভাব প্রকাশ করেছে। এর জন্য তাদের কঠিন শাস্তি ভোগ করতেই হবে।

 

এই হামলার মাধ্যমে ইহুদিবাদীরা নিজেদের জন্য এক তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে, এবং তা তাদের ভোগ করতেই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শত্রুর এই আক্রমণে আমাদের কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী শহীদ হয়েছেন। তবে ইনশাআল্লাহ, তাদের স্থলাভিষিক্তরা দ্রুতই সেই দায়িত্ব তুলে নিয়ে কাজ শুরু করবেন। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনী আল্লাহর ইচ্ছায় ইসরাইলের মতো শত্রুদের কখনও ছাড় দেবে না।’

 

সূত্র- আল জারিরা

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন