ইমরান খানের জীবিত থাকার প্রমাণ চাইলেন ছোট ছেলে কাসিম

২ সপ্তাহ আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কারাবন্দি নেতা ইমরান খান ‘জীবিত আছেন’ মর্মে সরকারের কাছে প্রমাণ চেয়েছেন তার ছোট ছেলে কাসিম খান। বাবা ইমরান খানের ‘মৃত্যু’ গুঞ্জনের মধ্যে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি।

২০২৩ সাল থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান। সম্প্রতি তার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সরকার। 

 

ইমরান খানের তিন বোন- নরীন খান, আলিমা খান ও উজমা খান অভিযোগ করেন, তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বারবার দেখা করতে গেলেও তাদেরকে তাদের ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি।

 

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইমরান খানের ‘মৃত্যু’ হয়েছে বলে গুজব ও গুঞ্জন চলছে। আফগানিস্তানের একটি গণমাধ্যম দাবি করেছে, তাকে কারাগারের ভেতর হত্যা করা হয়েছে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো পাকিস্তান।

 

আরও পড়ুন: ইমরান খানের স্বাস্থ্য বিষয়ে ‘গুজব’ নিয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি পিটিআই’র

 

এমন প্রেক্ষাপটে ইমরান খানের ছেলে কাসিম খান বাবার জীবিত থাকার প্রমাণের পাশাপাশি অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার এক এক্স পোস্টে তিনি জানান, তার বাবা ৮৪৫ দিন ধরে কারাগারে। গত দেড় মাস ধরে ফাঁসির আসামিদের নির্জন কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। পরিবারকে দেখা করতে বা ফোনে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না।

 

কাসিম অভিযোগ করেন, তাদেরকে ইমরান খানের অবস্থার ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে, যা কোনোভাবেই নিয়ম হতে পারে না। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বোনদেরও তার সাক্ষাত থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

 

আন্তর্জাতিক মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বাবার নিরাপত্তা এবং নির্জন কারাবাসের প্রতিটি পরিণতির দায় পাকিস্তান সরকারকেই নিতে হবে।’

 

আরও পড়ুন: কারাবন্দি ইমরান খানের মৃত্যুর গুজব, উত্তপ্ত পাকিস্তান

 

গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে দলের নেতাকর্মীসহ তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি কারাগারের সামনে জড়ো হন। কিন্তু তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পিটিআই বলেছে, খানের তিন বোন ও সমর্থকরা কারাগারে বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশের হামলার শিকার হন। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন