ইন্দোনেশিয়ার ইস্ট নুসা তেঙ্গারা ও বালি প্রদেশ এবং পর্যটন কেন্দ্র বালিতে গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে হড়কা বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে পানি ও কাদামাটির তোড়ে ভেসে যায় বেশ কয়েকজন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে এক মা ও তার শিশুও রয়েছে। বুধবার উদ্ধারকারীরা প্রত্যন্ত একটি গ্রামে কাদার নিচে থেকে তাদের উদ্ধার করে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন।
পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে প্রধান সড়কগুলো। ডুবে গেছে বাড়িঘর। এতে দেশটির বাসিন্দাদের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে জোর আলোচনা
এদিকে টানা ভারি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ। পানিতে থইথই করছে চারপাশ। কোথাও হাঁটুপানি কোথাও বা কোমর পানি। তার মধ্যদিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে মানুষ। এই রাজ্যে বন্যায় গত দুই মাসে অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দারাও। পানিতে নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি তলিয়ে গেছে শহরের রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। তিনদিন ধরে এখানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টির কারণে পুকুর-ডোবা তলিয়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট। এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে গোটা দেশ উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তানে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। এতে শহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বাসিন্দাদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপালের অস্থিরতা কি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে?
]]>