এছাড়া ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৪১ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। খবর আল জাজিরা ও এএফপির।
ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসক্যু এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার (২ জুলাই) গভীর রাতে পূর্ব জাভার কেতাপাং বন্দর থেকে বালি দ্বীপের গিলিমানুক বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা পর কেএমপি টুনু প্রাতামা জায়া নামের ফেরিটি ডুবে যায়।
ফেরিটিতে মোট ৬৫ জন মানুষ ছিল। এর মধ্যে ৫৩ জন যাত্রী এবং ১২ জন নাবিক। এছাড়া ১৪টি ট্রাকসহ ২২টি যানবাহন ছিল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ইরানে হামলা হলে পাকিস্তানে কোনো মার্কিনি থাকবে না
ফেরিডুবির পর রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ ৪ জনের মতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাগরের উত্তাল পানিতে ভেসে থাকতে থাকতে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, চারজন যাত্রী ফেরির লাইফবোট ব্যবহার করে নিজেদের রক্ষা করেছিলেন এবং বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের উপকূলে পাওয়া যায়।
দুটি টাগ বোট এবং দুটি নৌকাসহ মোট নয়টি নৌকা নিখোঁজদের অনুসন্ধানে কাজ করছে। তবে প্রায় দুই মিটার (৬.৫ ফুট) উঁচু ঢেউয়ের সাথে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উত্তরসূরি নির্বাচনের ঘোষণা দালাই লামার, তীব্র প্রতিক্রিয়া চীনের
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ফেরি ট্র্যাজেডি সাধারণ ঘটনা যেখানে পরিবহনের জন্য প্রায়ই ফেরি ব্যবহার করা হয়।
]]>