মোরাতো ইউরো থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন হতাশা থেকে। গত বছরের এপ্রিলে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছেন গ্যালাতাসারেতে লোনে থাকা এসি মিলান ফুটবলার। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে প্রথম লেগে এগিয়ে থেকেও সেমির দৌড় থেকে বাদ পড়ে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। দুই লেগেই মোরাতা সহজ বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করেন, এমনকি গোলকিপারকে একা পেয়েও। সেখান থেকে হতাশার জন্ম।
‘মোরাতা: তারা জানে না আমি কে’ নামক ডকুমেন্টারিতে এই কথা জানিয়েছেন ৩২ বছর বয়সি ফুটবলার। হতাশার উৎপত্তি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা হারছিলাম না... যখন ম্যাচটা শেষ হলো, আমি অনেক্ষণ ড্রেসিংরুমে ছিলাম। কান্না পাচ্ছিল। সেখান থেকেই এর (হতাশা) শুরু।’
আরও পড়ুন: ১০ দিনের কেনাবেচা শেষে কোন দলের কত খরচ?
মোরাতা হতাশা থেকে মাস-দুয়েক পরের স্পেনের ইউরোর স্কোয়াডে না থাকার কথা ভেবেছিলেন। ‘ঘুমাতে যাওয়ার সময় ভয় করত, জাগতে ইচ্ছা করত না। সবকিছুতেই ভয় পেতাম।... মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক অনেক চিন্তা মাথায় ঘুরেছে। এটাও মনে হচ্ছিল যে ইনজুরির ভান করি, যাতে ইউরো না খেলতে হয়।’
মোরাতা শেষ পর্যন্ত ইনজুরির ভান করেননি, তাকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করে স্পেন। ভান করলে বরং ক্ষতিই হতো, নামের পাশে যে এখন ইউরোটা থাকত না তার। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত আসরে স্প্যানিশরা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এক যুগ পর শিরোপা ঘরে তুলে। ওই আসরে মোরাতা একটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেন।