ইতিহাস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৬৯ রান দূরে

৩ সপ্তাহ আগে
ইতিহাসই তো হবে! কোনো দলের জেতা প্রথম শিরোপা ইতিহাসেই স্থান পায়। দক্ষিণ আফ্রিকা এর আগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বটে, তবে ১৯৯৮ সালে জেতা ‘আইসিসি নকআউট ট্রফি’টি মেজর শিরোপার কাতারে পড়ে না। তাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ার সুবর্ণ সুযোগ তাদের সামনে।

আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর সেমিফাইনাল-ফাইনালে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বহুবার হৃদয় ভেঙেছে। গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপ জিততে জিততেও তো তারা হেরে গেছিলো। লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জেতার জন্য তাদের সামনে লক্ষ্য ২৮২ রানের। তৃতীয় দিন শেষে ২১৩ রান করেও ফেলেছে তারা, শিরোপা থেকে এখন দূরত্ব মাত্র ৬৯ রানের। হাতে আছে ৮ উইকেট। বড় দুর্ঘটনা না ঘটলে দক্ষিণ আফ্রিকা শিরোপা উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি এখনই শুরু করে দিতে পারে।


প্রোটিয়ারা শিরোপার খুব কাছে চলে আসলেও শুরুটা এত সহজ ছিলো না। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ২১২ রানের জবাবে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় টেম্বা বাভুমা বাহিনী। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২০৭ রান। ২৮২ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে প্রোটিয়ারা ৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৭০ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট।


আরও পড়ুন: এক ক্যাচ মিসে ভোগান্তির শেষ নেই স্মিথ ও অস্ট্রেলিয়ার


এরপর আর পেছন-ফেরা নয়, এইডেন মারক্রামের মাস্টারক্লাস ও টেম্বা বাভুমার দৃঢ়তায় জয়ের দিকে এগিয়ে গেছে তারা। মারক্রাম তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। ১৫৯ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত তিনি, বাভুমা অপরাজিত ১২১ বলে ৬৫ করে।


মারক্রামের সেঞ্চুরির বিশেষত্ত্বটা বোঝা যায় আরও কিছু পরিসংখ্যান টানলে। এই টেস্টে এটা প্রথম সেঞ্চুরি। ওপেনারদের মধ্যে চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরির হিসাবে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছেন মারক্রাম। হারবার্ট সাটক্লিফ, জিওফ্রে বয়কট, গর্ডন গ্রিনিজ ও গ্রাহাম গুচদের মতো ৩টি সেঞ্চুরি তার। ওপেনার হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে সুনীল গাভাস্কার ও গ্রায়েম স্মিথের সেঞ্চুরিরসংখ্যা ৪টি করে। তাছাড়া সফরকারী দলগুলোর হয়ে লর্ডসে চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ব্যাটার মারক্রাম।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন