ইউল্যাবের ছাত্রী তানহার মৃত্যু, প্রেমিককে দায়ী করছে পরিবার

১ সপ্তাহে আগে
রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের ছাত্রী তানহা বিনতে বাশারের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার দায়ে অভিযুক্ত প্রেমিক সায়মনের বিচারের দাবি করেছেন তার পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, সায়মনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে সম্ভাবনাময় তানহাকে অকালে চলে যেতে হয়েছে। তাই এই ঘটনায় অভিযুক্ত সায়মন পালিয়ে যাওয়ার আগে গ্রেফতারের দাবি স্বজনদের।

‘বাবা আমার মন ভাল নেই, তুমি ঢাকায় আসো, আমাকে নিয়ে যাও’  মৃত্যুর আগে শেষবারের মতো এমনই কথা হয় ব্যবসায়ী বাবা আবুল বাশারের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানহার।

 

প্রিয় সন্তানের এমন মৃত্যুতে বিমর্ষ আবুল বাশার যেন হারিয়ে ফেলেছেন মুখের ভাষা। তিনি বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার জন্য মেয়েকে ঢাকায় পাঠাই। কিন্তু বাবার কাঁধে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোঝা মেয়ের লাশ বইতে হচ্ছে আমার। তার অভিযোগ, ‘সায়মন নামে এক ছেলে তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী।’

 

তানহার এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন তার সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা। তানহার সহপাঠীরা জানান, সায়মন ও তানহার বাড়ি কুমিল্লায় হওয়ার সুবাদে কলেজ জীবনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। পরে সায়মন ঢাকার ইউল্যাবে ভর্তি হলে প্রেমিকা তানহাকেও তার সঙ্গে ইউল্যাবে ভর্তি হওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই ধারাবাহিকতায় দুজনে ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।

 

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক জানান, গত সোমবার (৩ নভেমম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ে স্বপ্নচূড়া ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তানহার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে তানহা আত্মহত্যা করতে পারেন।

 

আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে শহীদ সোহাগের মরদেহ উত্তোলন

 

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর তানহার মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হলেও তা আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হবে।

 

এই ঘটনার পেছনে তানহার প্রেমিক সায়মনের কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তানহার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। এটি সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন