সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী পৌর শহরের নতুন বাজারস্থ জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা গনঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
কেন্দ্র দখল করে সিল পিটিয়ে এমপি ও চেয়ারম্যান হওয়ার সেই দিন আর নেই উল্লেখ করে নুর বলেন, 'সময় যতদিন লাগে সরকার নেবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না।'
তিনি আরো বলেন, 'গণঅধিকার পরিষদকে আন্ডারস্টিমেট করবেন না। গণঅধিকার পরিষদ গত সাত বছরে ৭০ বছরের ইতিহাস তৈরি করেছে। তাই আমাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না।'
এ সময় তিনি দলের কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহীদুল ইসলাম ফাহিমকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১২ জুন রাতে পটুয়াখালীর গলাচিপায় নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই দিন রাতে বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় আয়োজিত এক স্মরণসভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে অবরুদ্ধ হন তিনি। ঘটনার ৩ ঘণ্টার মাথায় রাত ১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানান তার সঙ্গে থাকা লোকজন। এসময় তিনি পাতাবুনিয়া বাজারে অবস্থান করছিলেন।
নুরুল হক নুর তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া একটি পোষ্টে উল্লেখ করেন, গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজারে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা রাস্তায় গাছ ফেলে গুলতি (ছটকা), লোহার রড, রামদা নিয়ে তাদের পথরোধ করেন। এসময় স্থানীয় কয়েক জনকে মারধর করে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: নুরের গ্রামে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, নুরুল হক নুর এলাকায় অবস্থান করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এছাড়াও বুধবার তিনি প্রকাশ্যে একটি ঠিকাদারী কাজ নিয়ে জেলা বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। তাছাড়া বৃহস্পতিবার চরবিশ্বাস বাজারে তার লোকজন বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছেন। এসব উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে স্থানীয় লোকজন তার প্রতি ক্ষিপ্ত হতে পারেন।
]]>