ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সম্পৃক্ততা সংঘাতের ‘বিপজ্জনক সম্প্রসারণ’, বলছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা 

৩ সপ্তাহ আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ এক বিবৃতিতে ইইউ এবং আরও দশটি দেশ ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপকে ‘ বিপজ্জনক সম্প্রসারণ’  বলে অভিহিত করেছে।  পিয়ংইয়ং  রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে। সোমবার ইউক্রেন জানিয়েছে কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে  তাদের যোদ্ধারা কমপক্ষে  উত্তর কোরিয়ার ৩০ জন  সেনাকে হত্যা বা আহত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন যুদ্ধে  ডিপিআরকের  সরাসরি সমর্থন সংঘাতের বিপদজনক সম্প্রসারণ,  যা ইউরোপীয় ও ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।”  অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন।   তারা আরও বলেন, “ডিপিআরকে-র  অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচিতে  গণবিধ্বংসী অস্ত্র সহ রাশিয়া যেকোনো রাজনৈতিক,  সামরিক বা অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে পারে কি না তা নিয়ে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”  ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর থেকে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া তাদের সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মস্কোর কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তি সংগ্রহ করতে আগ্রহী এবং তার সেনাদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আগ্রহী।  বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেছেন,  তারা “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ায় ডিপিআরকে  সেনা মোতায়েনসহ  বর্ধমান সামরিক সহযোগিতার”  তীব্র নিন্দা জানান।  বিবৃতিতে বলা হয়, “ আমরা উত্তর কোরিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের যুদ্ধে সেনা প্রত্যাহারসহ সব ধরনের সহায়তা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”  যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে,  উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে। 
সম্পূর্ণ পড়ুন