যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার ইউক্রেন ও নেটো মিত্রদের আশ্বস্ত করেছেন যে জানুয়ারি মাসে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন তাঁর এই চূড়ান্ত সময়ে ইউক্রেনকে “ সম্ভাব্য সব চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে” রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আর সেই সাথে রাশিয়া যে সম্ভবত “পারমাণবিক সক্ষমতাসহ” উত্তর কোরিয়া সক্ষমতা বাড়াচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতা প্রকাশ করেছে।
বুধবার নেটো সদর দপ্তরে ব্লিংকেন সংবাদদাতাদের বলেন,“প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়টি নিশ্চত হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আমাদের আওতায় প্রতিটি ডলার আজ এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে পাঠানো হবে”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে প্রয়োজন অনুযায়ী ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেন থাকে, তার গোলন্দাজ যেন থাকে এবং অস্ত্রসজ্জিত যানবাহন যেন থাকে”।
ব্লিংকেন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন তিনি আশা করেন ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সহায়তা বৃদ্ধি পাবে এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ওয়াশিংটনের সহযোগীরা যেন, “ তাদের ভাগের কাজের চেয়ে আরও বেশি কিছু করে”।
নেটোর মহাসচিব মার্ক রুটের পাশে দাঁড়িয়ে ব্লিংকেন আবারও জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে সমর্থ করে তুলতে “সবকিছু ঠিক করে নিতে” ওয়াশিংটন কাজ করে যাবে”।
রুট ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সক্রিয় সমর্থন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রুট সংবাদদাতাদের বলেন, “ উত্তর কোরিয়ার এই সৈন্যদের উপস্থিতি ইউক্রেনের প্রতি বাড়তি হুমকি এবং এতে পুতিনের দ্বারা ক্ষতি করার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে”।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার ১০,০০০ ‘এর বেশি সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং তাদের অধিকাংশকেই কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যকার সামরিক সহযোগিতাকে ব্লিংকেন “ আসা-যাওয়ার পথ” বলে বর্ণনা করেন।
তিনি সংবাদদাতাদের বলেন , “ উত্তর কোরিয়ার সক্ষমতাকে, তার ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা তার পরমাণু ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে রাশিয়া যা করছে কিংবা যা করতে পারে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে”। তা ছাড়া উত্তর কোরিয়ার বাহিনী যুদ্ধ ক্ষেত্রের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে সেটা উদ্বেগের বিষয়।
ব্রাসেলস’এ ব্লিংকেন অন্যান্যদের মধ্যে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা. ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ওয়াশিংটনে , কর্মকর্তারা বলছেন অনুমান করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার হোয়াইট হাউসে তাঁদের মধ্যকার আলোচনায় নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলবেন ইউক্রেন থেকে সরে না আসতে।
ট্রাম্পের রাজনৈতিক মিত্ররা এমন আভাস দিয়েছেন যে আসন্ন প্রশাসন রাশিয়ার অধিকৃত ক্রাইমিয়া ও অন্যান্য অঞ্চল পুনরুদ্ধারের চাইতে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপর অগ্রাধিকার দিবে।