রাশিয়া রবিবার (১৭ নভেম্বর) ইউক্রেনে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যা কিনা গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় বলে বর্ণনা করেছেন কর্মকর্তারা। এই হামলাতে, জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ এবং বেসামরিক লোকজন নিহত হয়েছে।
সামনের শীতের আগে মস্কো ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধ্বংস করে দিতে পারে এই আশংকার মাঝেই এ হামলা চালানো হলো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন জুড়ে এই হামলায় মোট ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এতে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে যার মধ্যে ছিল ইরানের তৈরি শাহেদ। ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ, ব্যালিস্টিক ও বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
টেলিগ্রাম বিবৃতিতে জেলেন্সকি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী ১৪০টি উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তু ভূপাতিত করতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, "পুরো ইউক্রেনে আমাদের জ্বালানি অবকাঠামো ছিল শত্রুর লক্ষ্যবস্তু। দুর্ভাগ্যক্রমে এই হামলায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মাইকলায়েভে, ড্রোন হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত ও দুই শিশুসহ মোট ছয়জন আহত হয়েছে।"
পোল্যান্ডে সতর্কতা
স্থানীয় গভর্নর ওলেহ কিপার জানিয়েছেন, ওডেসা অঞ্চলেও আরও দু'জন নিহত এবং জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
গত তিন মাসের মধ্যে এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছেন, কিয়েভের নগর সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো।
ইউক্রেনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই দেশটির বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলার ফলে জরুরী বিদ্যুৎ সেবা সমস্যার মুখোমুখী হয়ে আসছে।
ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের রুশ আক্রমণ মোকাবেলার জন্য দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যাপারে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন,তাদের প্রতিবেশী ইউক্রেনে "ব্যাপক" রাশিয়ার হামলার কারণে পোলিশ এবং মিত্র বিমানগুলি পোল্যান্ডের আকাশসীমায় মোতায়েন করা হয়েছে।
পোল্যান্ডের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।