শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ষাটোর্ধ ওই নারীকে একা ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ফেরদৌস আহমেদ বৃদ্ধার পরিচয় জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে রাত ১০টার দিকে তিনি বৃদ্ধাকে নিয়ে মুরাদনগর থানায় আসেন।
বৃদ্ধা মমতাজ বেগম কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের বীকতলা গ্রামের মৃত আয়াত আলীর স্ত্রী।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে তার সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইউএনও মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি থানার মাধ্যমে জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে বৃদ্ধাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং তার নিরাপত্তার জন্য একজন মহিলা গ্রাম পুলিশ নিয়োগ করা হয়।’
আরও পড়ুন: বাবা-মায়ের খোঁজ নেন না প্রবাসী ছেলেরা, পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসকরা বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয় শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাকিব হাসান খান ও সমাজসেবা কর্মকর্তার সহযোগিতায় দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার, ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।’
বৃদ্ধার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ মেলে। খবর পেয়ে রোববার সকালে তার পরিবার মুরাদনগর ইউএনও কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হয়। যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পারিবারিক সদস্যদের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে বৃদ্ধা মমতাজ বেগমকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন ইউএনও মো. আবদুর রহমান।
ইউএনও আরও জানান, কিছুদিন আগে মমতাজ বেগমের একমাত্র মেয়ে মারা যান। মেয়ের মৃত্যুতে শোক সইতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। তবে দাউদকান্দি থেকে মুরাদনগরে কীভাবে এসেছেন, তা এখনো জানা যায়নি।