কাটাকে শুরুতে ব্যাটিং করে এক বল বাকি থাকতে ৩০৪ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩৩ বল এবং ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
লক্ষ্যতাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। ইংলিশ বোলারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই তারা তোলেন ১৩৬ রান। ৫২ বলে ৬০ রান করে জেমি ওভারটনের বলে গিল ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ইনজুরি কাটিয়ে লম্বা সময় পর দলে ফেরা বিরাট কোহলি ফেরেন দ্রুতই। তারকা এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ৫ রান।
তবে রোহিত শর্মার ব্যাট থামেনি। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান ২২০ রান পর্যন্ত। ৭ ছক্কা ও ১২ চারে ৯০ বলে ১১৯ রান করে রোহিত যখন ফেরেন, তখন জয়ের জন্য ২০ ওভার ২ বলে কেবল ৮৫ রান দরকার ছিল ভারতের। শ্রেয়াস আইয়ারের ৪৪ এবং অক্ষর প্যাটেলের অপরাজিত ৪১ রানে ভর করে সেটা সহজেই পেরিয়ে যায় নীল জার্সিধারীরা।
৭ ছক্কা মেরে আজ ক্রিস গেইলের রেকর্ড ভেঙেছেন রোহিত। ৩৩৮ ছক্কা নিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত। সবচেয়ে আগে আছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। তাকে টপকাতে হলে এখনও ১৪টি ছক্কা মারতে হবে রোহিতকে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ফিল সল্ট এবং বেন ডাকেটের ব্যাটে ভালো শুরু পায় ইংল্যান্ড। দলীয় ৮১ রানে ডাকেটকে ফিরিয়ে ভারতের এবং নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। ৫৬ বলে ৬৫ রান করে দলীয় ১০২ রানে ফেরেন বেন ডাকেট। তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন হ্যারি ব্রুক এবং জো রুট।
দলীয় ১৬৮ রানে হর্ষিত রানার বলে আউট হন হ্যারি ব্রুক। জস বাটলারকে নিয়ে পরের উইকেটেও ৫১ রানের জুটি গড়েন রুট। ৩৪ রান করে বাটলার আউট হওয়ার পর ছন্দ হারায় ইংল্যান্ড। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থেকে ইংলিশরা। শেষদিকে ৩২ বলে ৪১ রান করে লিভিংস্টোন কোনোরকমে ৩০০ রানের গণ্ডি পার করায় ইংল্যান্ডকে। ৭২ বলে ৬৯ রান করেছেন রুট।
ভারতের হয়ে রবীন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়া, হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
]]>