ইংলিশ মিডিয়ামেই শিখছে কোরআন, হচ্ছে হাফেজও

১৪ ঘন্টা আগে
উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী মুখে কোরআন তেলাওয়াত শুনলে সাধারণত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মনে হবে। কারণ সম্পূর্ণ ব্রিটিশ কারিকুলামে চলা এই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বাকি সব বিষয়ের পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আরবি এবং ইসলামিক শিক্ষার ওপর।

পাঠ্যসূচির অংশ হিসেবে আরবি ভাষা ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে পাঠদান করা হয় ক্যামব্রিজ কারিকুলাম অনুসরণ করা এই প্রতিষ্ঠানটিতে। প্লে-গ্রুপ থেকে শুরু করে ও-লেভেল পর্যন্ত প্রত্যেক  শিক্ষার্থীকে কোরআন শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করা হয়ে থাকে।

 

ক্লাসের স্বাভাবিক পড়াশোনা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কোরআন হিফজের এই উদ্যোগ নেয়া হয়। কোরআন হিফজে আগ্রহীদের জন্য প্রতিদিন ভোরবেলা থেকেই রুটিন শুরু হয়। এজন্য প্রতিদিন ফজর নামাজের পর দুঘণ্টা সময় পান শিক্ষার্থীরা। এমনকি ক্লাসের পর আলাদাভাবেও কোরআন শিক্ষায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সময় দিয়ে থাকেন।

 

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হওয়া স্বত্বেও এখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ও-লেভেলের শিক্ষার্থীদের বাসায় আলাদা টিচার কিংবা কোনোরকম কোচিং সেন্টারের প্রয়োজন যেন না হয় সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

 

 

ও লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষায় নিয়মিত ভালো ফলাফল করে আসছে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দিকে, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান যেন ক্ষুণ্ন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদেরকেও দেয়া হয় প্রশিক্ষণ।

 

এদিকে, নিজের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকেন অভিভাবকরা  এবং স্কুল থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মানুবর্তিতা এবং শৃঙ্খলাবোধ শিখছে বলে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন তারা।

 

আরও পড়ুন: কুয়েতে ৭৪ দেশের হাফেজদের হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের আনাস

 

স্কুলের আরবি ও আল-কোরআন সমন্বয়ক মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমাদের এই প্রোগ্রামে ৪০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এখানে প্রশিক্ষিত শিক্ষক, করিকুলাম এবং সর্বোচ্চ মনিটরিংয়ের কারণে আশা করতে পারছি আমাদের অগ্রযাত্রা সুফল পাবে।  

 

উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল পারভিন কাদের বলেন, আজকাল শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যায়, কোচিংয়ে যাওয়ার টেন্ডেন্সি অনেক বেশি। আমরা শুরু থেকে সেই অভ্যাসটা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে তাদের সব ধরনের বিষয় আমাদের দেখতে হয়।’  

 

স্কুলের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ জামান বলেন, আরবি ভাষা এবং ইসলামিক শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হল তারা যেন পবিত্র কোরআন শুদ্ধভাবে শিখতে পারেন। এমনকি তাদের এমনভাবে গড়ে তোলা হয় যেন মধ্যপ্রাচ্যসহ, ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ সহজেই পেতে পারে।

 

২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। রাজধানীর লালমাটিয়ায় অবস্থিত এই স্কুলের ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছেন যাদের মধ্যে ৩০ জন মেয়ে শিক্ষার্থীও রয়েছেন। উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং শারীরিক চর্চার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন