মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে আয়ানের চাচাতো ভাই রাহিব তাকে দেখতে যান। তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আয়ান শারীরিক যন্ত্রণায় কাতর, নিঃশ্বাস নিচ্ছে কৃত্রিম সহায়তায়, আর দুর্বল কণ্ঠে বলে উঠছে, ‘আমি এখানে থাকবো না, আমাকে নিয়ে যাও।’
স্বজনরা জানান, সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে আগুনে দগ্ধ হয় ১৩ বছর বয়সী আয়ান। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার শ্বাসনালী।
গণমাধ্যমকর্মীদের রাহিব বলেন, সকালে আয়ানের কাছে যাই। সে জিজ্ঞেস করে ‘আম্মু কোথায়?’ তারপর বারবার কমলা জুস খেতে চায়, কিন্তু ডাক্তাররা দিতে দেননি।
আরও পড়ুন: বুকের কাছে নিয়ে বলল তোমার সাথে আর দেখা হবে না- মাহরিনের স্বামীর আহাজারি
আয়ানের মা একজন ব্যাংকার। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার মুহূর্তের কথা স্মরণ করে রাহিব বলেন, ‘তিনি তখন ক্যান্টিনে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। হঠাৎ ফোনে জানতে পারেন, তার ছেলেকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এরপর তিনি বাড়িতে ফোন দেন—তিনি তখন সম্পূর্ণভাবে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।’
কথা বলতে গিয়ে রাহিবের কণ্ঠ ভারি হয়ে আসে, তিনি বলেন, ‘আয়ান বারবার বলছিল, ‘আমি এখানে থাকবো না, আমাকে নিয়ে যাও।’
]]>