সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৪টায় প্রথম চালানে ভারতীয় একটি ট্রাকে ১৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে।
পেঁয়াজের আমদানিকারক বাগেরহাটের এস এম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রফতানিকারক ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন। বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, ‘প্রথম চালানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫ টন পেঁয়াজ আমদানির করেছেন। পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’
প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩০৫ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা দেখিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে মানভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।
আরও পড়ুন: পাইকারিতে কমলো পেঁয়াজের দাম, খুচরায় কবে?
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় প্রথম দিনেই স্থানীয় বাজারে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে দাম। আমদানি কমের অজুহাতে রোববারও দেশীয় বাজারে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। আলতাফ হোসেন নামে একজন পেঁয়াজ ক্রেতা বলেন, ‘আমদানির খবরে প্রথম দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। এতে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা যে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছিল সেটা বোঝা গেল।’
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমনিুল হক বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিল। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় এ খাদ্যদ্রব্যটি কিনতে গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।’
এর আগে আমদানিতে নানা প্রতিবন্ধকতায় ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বন্ধ ছিল বেনাপোলে রুটে পেঁয়াজ আমদানি।
তথ্য বলছে, প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৭-২৮ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে গত বছর উৎপাদন হয়েছে ৩২ লাখ মেট্রিক টনের মতো। গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার থেকে উৎপাদন বেশি থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
]]>