বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টায় আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তারা। তবে প্রত্যাহার নিয়ে আন্দোলনকারী দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও স্টেশন সংস্কারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এতে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী মধুমতী, বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
আন্দোলনকারীরা নন্দনগাছী স্টেশনের দুই পাশে লাল নিশান টানিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দেন। এরপর তারা স্টেশনের সামনে অবস্থান নিয়ে নানা দাবি-দাওয়া সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। রেল অবরোধে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি, নন্দনগাছী স্টেশনে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে এবং স্টেশনটির জরুরি সংস্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ, সারাদেশের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল বলেন, ‘চারঘাট, বাঘা ও পুঠিয়ার মানুষ নন্দনগাছী স্টেশন ব্যবহার করলে অনেক সুবিধা হবে। সড়কে যানজট বাড়ছে, রেলই ভরসা। কিন্তু যাত্রাবিরতি না থাকায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।’
১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নন্দনগাছী স্টেশনটি ২০১৫ সালের শেষ দিকে কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এক সময় এখানে ১২ জন জনবল থাকলেও বর্তমানে একজনমাত্র পোর্টারম্যান কর্মরত। শুধুমাত্র দুটি লোকাল ট্রেন এখানে থামে। প্ল্যাটফর্মে ছাউনি থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্টেশনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এর আগে গত ১ মে একই দাবিতে হাজারো মানুষ আন্তঃনগর ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন। ওই সময় বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও লোকাল মেল ট্রেনও বন্ধ হয়ে পড়ে।
নন্দনগাছী স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। দ্রুত সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
]]>