আস্থার সংকট, শেয়ার বাজারে বড় ধরনের ধস

৮ ঘন্টা আগে
প্রায় পাঁচ মাস পর সর্বনিম্নে ঠেকেছে ঢাকার পুঁজিবাজারের দৈনিক গড় লেনদেন ও প্রধান সূচক ডিএসই-এক্সর অবস্থান। কমেছে বাজার মূলধনও। ধস নেমেছে ২১টি খাতের মধ্যে ১৯টিতে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের প্রতিফলন ঘটছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। পতন ঠেকাতে বাড়াতে হবে আত্মবিশ্বাস।

দুর্বল ৫ ব্যাংক একীভূত করে শেয়ারবাজারে তাদের লেনদেন স্থগিত করার পরের সপ্তাহে বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে।


গত সপ্তাহের হিসাবে, দেখা যাচ্ছে ২১ খাতের মধ্যে সিমেন্ট ও টেলিকম বাদে ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল, চামড়া, জ্বালানিসহ ১৯টিতেই কমেছে দৈনিক গড় লেনদেন।


পতনের মুখে গেল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দৈনিক লেনদেন নেমেছে ৩০০ কোটির নিচে, যা ২৩ জুনের পর সর্বনিম্ন। এছাড়া, দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৫৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকায়; যা ১৫ থেকে ১৯ জুন; ওই সপ্তাহের পর সর্বনিম্ন।


বড় পতন দেখেছে প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স-ও। সপ্তাহ ব্যবধানে ২৬৫ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে এই নেমেছে ৪ হাজার ৭০৩ পয়েন্টের নিচে, যা ২৩ জুনের পর সর্বনিম্ন। এসময়ে বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা।


আরও পড়ুন: পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করলো ডিএসই


ব্রোকার্স হাউজগুলোর দাবি, লেনদেন স্থগিত হওয়া ৫ ব্যাংকের শেয়ারধারীদের কী হবে? এমন প্রশ্নের অনিশ্চিত উত্তরের কারণেই আস্থার সংকটে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা; যার প্রতিফলন ঘটেছে দেশের প্রধান পঁজিবাজারে।


ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হলো, আমরা হয়ত ৫টা ব্যাংকে শেয়ার ছিল, এখন এসব ব্যাংক একীভূত হলে শেয়ারধারী কিভাবে অপারেট হবে, বিষয়ে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।’


এ অবস্থায় আস্থা ফেরাতে ব্যাংক ধ্বসের কারিগরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে, আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানানোর পরামর্শ পুঁজিবাজার সংস্কার কমিটির এই সদস্য আল আমিনের।


শেয়ারবাজারের হিসাব রক্ষাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলর তথ্য, গত সপ্তাহে প্রতিদিনই বেড়েছে শেয়ারশূন্য বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন