আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় অভিযোগ দাখিল আজ

২ দিন আগে
গতবছর গণ-অভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও মরদেহ পোড়ানোর মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে আজ বুধবার (২ জুলাই)। সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এর ফরমাল চার্জ দাখিল করা হবে।

এর আগে গত ১৯ জুন এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায় প্রসিকিউশন।


আনুষ্ঠানিক অভিযোগে সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদিন, সকালে এই মামলায় গ্রেফতার পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হিল কাফি, শাহিদুল ইসলামসহ সাতজনকে হাজির করা হয় ট্রাইব্যুনালে। 


গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৫ জন। একজন গুরুতর আহত হন। পরে ৫ জনের মরদেহ এবং আহত একজনকে পুলিশ ভ্যানে তুলে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।


প্রসিকিউশন জানায়, এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।


আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৪৬ মরদেহ পোড়ানোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ পুলিশ কর্মকর্তা সায়েদ গ্রেফতার


এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, ২১ পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।


যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন-


আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, ওসি এএফএম সায়েদ আহমেদ, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই মো. রাকিবুল এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক।


আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ৬ জনকে হত্যার ভিডিও তদন্ত সংস্থার হাতে, শনাক্ত ২

 

আরও রয়েছেন: এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কসস্টেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য, আশুলিয়া থানার আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন ওরফে তুহিন কুলু, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাদিম হোসেন, যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরদার, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. শামীম হোসেন, যুবলীগের আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ, সেক্রেটারি টিটু, সাভার ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সাভার আওয়ামী লীগের আলী হায়দারসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যরা।


অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৪৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬নং আসামিসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্য ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদের মরদেহ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন