আলোচনা ব্যর্থ না হলে ইরানে হামলা হবে না, ট্রাম্পকে আশ্বাস ইসরাইলের

৩ সপ্তাহ আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমতি ছাড়া ইরানে হামলা চালাবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে ইসরাইল। তবে কোনো কারণে পারমাণবিক সমঝোতার আলোচনা ব্যর্থ হলে তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদেক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিব।

বিষয়টি সম্পর্কে সরাসরি অবগত ইসরাইলের দুইজন কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের কৌশলগত বিষয়কমন্ত্রী রন ডারমার, মোসাদের পরিচালক ডেভিড বার্নিয়া এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাহি হানেগবিতা সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরে এই ট্রাম্প প্রশাসনকে এই আশ্বাস দিয়েছেন।

 

পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান আলোচনার মাঝেই ইসরাইল তেহরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এ ধারণা নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন উদ্বিগ্ন ছিল।

 

আলোচনা চলাকালীন কোনো সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন ট্রাম্প। তবে তিনি আরও বলেন, যদি তিনি মনে করেন যে, ইরানের সঙ্গে আলোচনা কোনো ফলপ্রসূ পথে এগোচ্ছে না, তাহলে একটি ফোন কলেই আমার অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইল ইরানে হামলা চালালে দায়ী থাকবে যুক্তরাষ্ট্র

 

ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আলোচনার সফলতার সম্ভাবনা থাকলে কোনো সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের যৌক্তিকতা নেই।

 

একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আমেরিকানদের শান্ত করেছি এবং বলেছি যে ভালো কোনো কূটনৈতিক সমাধান পাওয়া গেলে হামলার কোনো যুক্তি নেই। তাই আমরা আলোচনার ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করব এবং কোনো সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করব না, যতক্ষণ না আলোচনার সব পথ শেষ হয়ে যায় এবং হোয়াইট হাউসের দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনার ব্যর্থতা ঘোষণা করেন।’

 

বেশ কয়েকসপ্তাহ ধরে পরোক্ষ আলোচনা চললেও পারমাণু ইস্যুতে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র। এর আগেই বুধবার, ইরানের নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ধারণা করা হচ্ছে এর প্রভাব পড়তে পারে দুই দেশের চলমান আলোচনাতেও।

 

এমন শঙ্কার মধ্যেই, চীন থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট আমদানি করেছে ইরান, যা দিয়ে প্রায় ৮০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি সম্ভব।

 

আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই: ট্রাম্প

 

একাধিক পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এই উপাদান দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রের পাশাপাশি হুতি বিদ্রোহীসহ আঞ্চলিক ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীদের কাছে পাঠানো হবে।

 

গত অক্টোবরে ইসরাইলের হামলায় ইরানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানার ব্যাপক ক্ষতি হয়। সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেই চীন থেকে উপাদান সংগ্রহ করেছে তেহরান। যদিও বেইজিংয়ের দাবি, এ ধরনের উপকরণে তাদের কঠোর রফতানি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সমঝোতা ঘিরে আলোচনার মঞ্চে শান্তির প্রত্যাশা থাকলেও আড়ালে সামরিক, কূটনৈতিক আর প্রযুক্তিগত সবদিকেই চলছে প্রস্তুতি। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য এখনও টালমাটাল বলে মত তাদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন