ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাসের মতো ক্লাব মাতিয়ে আল নাসরে যোগ দেন রোনালদো। ৪০ বছর বয়সেও নেই কোনো ক্লান্তি, মাঠের সেই একাগ্রতা এখনও স্পষ্ট। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সৌদি ক্লাবে যোগ দেয়া সিআরসেভেন ৯০ ম্যাচে তাদের হয়ে করেছেন ৮২ গোল।
পেশাদার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৯২৪ গোল করা ফুটবলার, হাজার গোলের মাইলস্টোনের পথে ছুটছেন দুর্বার গতিতে। ইউরোপে যখন কঠিন সময় পার করছিলেন, তখন যে ক্লাবটা সঙ্গ দিয়েছিল, হয়তো কৃতজ্ঞতা বোধ থেকেই আরও কিছুটা সময় তাদের ডেরায় থেকে যেতে চান ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। এক হাজার গোলের রেকর্ডটা হয়তো করতে চান ঐ হলুদ জার্সি গায়ে জড়িয়েই।
এ বছর জুনে আল নাসরের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ক্রিস্টিয়ানোর। নতুন চুক্তি প্রসঙ্গে আলোচনা কম হয়নি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও জোর গুঞ্জন- চুক্তি নবায়ন করে আরও এক বছর সেখানে থাকবেন রন। নতুন চুক্তিতে রিয়াদ ভিত্তিক ক্লাবটি থেকে তিনি পেতে পারেন আড়াইশ' মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরলেন বুকায়ো সাকা
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে অর্থের পরিমাণ হতে পারে আরও অনেক বেশি। রোনালদোকে রেখে দিতে পারলে লাভ সৌদি আরবের ফুটবলেরই। দেশটির ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পাওয়ার পেছনে পর্তুগিজ তারকার উপস্থিতি যে বড় ভূমিকা রেখেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তার পথ ধরেই তো অন্যান্য তারকা ফুটবলাররা পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি প্রো লিগে। করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, এনগোলো কান্তে, রবার্তো ফিরমিনো, রিয়াদ মাহরেজের মতো ইউরোপ মাতানো প্লেয়ার।
তবে, রোনালদোর পর সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল নেইমারের সৌদি আরবে পাড়ি জমানো। যদিও ইনজুরির কারণে সেখানে ব্রাজিলিয়ান তারকার ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি। সম্প্রতি স্বদেশি ক্লাব সান্তোসে যোগ দিয়েছেন নেইমার। আর এর পর থেকেই রোনালদোকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়- সৌদিতে থাকবেন তো তিনি?
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত রামোস
খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে আসতে পারে ঘোষণা। আপাতত গণমাধ্যমের খবরে স্বস্তিই পাচ্ছেন আরবের ফুটবল ফ্যানরা। গুঞ্জন সত্যি হলে, ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত আল নাসরেই থাকবেন রোনালদো।
]]>