রোববার (১২ অক্টোবর) চেজ স্টেডিয়ামে আটলান্টা ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে হারিয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। এদিন জোড়া গোল করে দলের জয়ের নায়ক অধিনায়ক মেসি।
অক্টোবরে ভেনেজুয়েলা ও পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৮ সদস্যের দলে মেসিকে রেখেছিলেন কোচ স্ক্যালোনি। কিন্তু গতকাল ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচের ২৫জনের স্কোয়াডে মেসিকে রাখেননি স্ক্যালোনি। জিওভান্নি লো সেলসোর একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনা জয় পেলেও মেসির অভাব স্পষ্ট টের পাওয়া গেছে। ম্যাচের পর মেসিকে স্কোয়াডে না রাখার ব্যাপারে কোচ স্ক্যালোনি জানিয়েছিলেন, এটি তার সিদ্ধান্ত।
তবে, গতকাল আলবিসেলেস্তেদের জার্সিতে না খেললেও আজ সকালে ইন্টার মায়ামির জার্সিতে স্বরূপে হাজির মেসি। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন–জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকার পরও কেন ক্লাবের হয়ে খেলছেন মেসি? মূলত জাতীয় দলের কোচ স্ক্যালোনির অনুমতি মেলাতেই ক্লাবের হয়ে খেলতে পেরেছেন ৩৮ বছর বয়সী মহাতারকা। আর্জেন্টিনার দুই ম্যাচের ভেন্যুই সুযোগ এনে দিয়েছে মেসিকে।
আরও পড়ুন: ৫০ গোলে দ্রুততম হল্যান্ড, মেসি-রোনালদোদের কত ম্যাচ লেগেছিল
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটির পর আলবিসেলেস্তেদের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে শিকাগোয় যাওয়ার কথা থাকলেও সেই ম্যাচের ভেন্যু বদলে গেছে। পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে ম্যাচটি ইন্টার মায়ামির ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে ক্লাবে যোগ দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
আটলান্টার বিপক্ষে মেসিকে খেলানোর ব্যাখ্যায় মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো বলেন, 'ম্যাচের আগে আমি স্ক্যালোনির সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং সে জানায়, তাকে (মেসিকে) ব্যবহার করা হবে না। তাকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হবে। এরপর আমি লিওর (মেসি) সঙ্গে কথা বলি সে খেলতে পারবে কি–না। এটা তার সিদ্ধান্ত ছিল এবং সে সুযোগটা স্পষ্ট দেখতে পারছিল–ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে না খেললে আমরা তাকে ব্যবহার করতে পারব। অবশ্যই সে তৈরি ছিল।'
'সে বিশেষ একজন খেলোয়াড়, সে একজন আদর্শ এবং যদিও সে আমাদের সঙ্গে গত সপ্তাহে অনুশীলন করেনি, আমরা দেখলাম সে কী করতে পারে। সে আমাদের জিতিতে সাহায্য করেছে, গোল করেছে। যা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন: হামজাকে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব দেওয়ার পরামর্শ আমিনুলের
পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষেও মেসির খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে, মায়ামির হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন মেসি। চলতি মৌসুমে ৯ ম্যাচে একাধিক গোল করে পেছনে ফেলেছেন ইব্রাহিমোভিচকে। ২০১৯ সালে এমএলএসের এক মৌসুমে আটবার একাধিক গোল করেছিলেন এই সুইডিশ। সেটাই এতোদিন পর্যন্ত রেকর্ড ছিল।
চলতি মৌসুমে মায়ামির জার্সিতে ২৬ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে মেসি। টানা দ্বিতীয় মৌসুমে হতে পারেন লিগের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার, যা এখন পর্যন্ত কেউ করে দেখাতে পারেননি। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৪৪ গোলে অবদান রেখেছেন মেসি। ২০১৯ সালে মেক্সিকোর কার্লোস ভেলা এলএএফসির হয়ে ৪৯ গোলে অবদান রেখেছিলেন। সেই রেকর্ড ভাঙারও সুযোগ মেসির সামনে।