রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
এর আগে দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা করা হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুম আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমাণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ওরফে আতাউল্লাহ (৪৮), মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মো. আসমতউল্লাহ (২৪) ও হাসান (৪৩)। তারা সবাই মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। সেইসঙ্গে আতাউল্লাহ ছাড়া অন্যরা সবাই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তাদের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান (২৪) রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় র্যাবের করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ও তার পাঁচ সহযোগীকে আদালতে উঠানো হলে শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, আসামিরা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা আগে নাশকতামূলক অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য গোপন বৈঠক করে আসছিল। র্যাব ও পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে আসামিরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জে ভুমিপল্লী আবাসিক এলাকার একটি বহুতল ভবনে গোপন বৈঠক করছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি কারাগারে
তিনি আরও জানান, আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ওরফে আতাউল্লাহ’র বিরুদ্ধে ৯টি হত্যা মামলাসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান। তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। পরে গত ১৮ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির তাদের ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ মজুমদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের র্যাব গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী রয়েছে।