২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থা জারির পর গ্রেফতার হয়েছিলেন তারেক রহমান। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারেক রহমান আর দেশে ফেরেননি। বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং রায়ও হতে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলার মধ্যে ৫টিতেই দণ্ড হয়। এছাড়া, খারিজ, খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন ৩৯টি মামলায়। বিএনপির আশা, দণ্ড পাওয়া বাকি চার মামলায়ও ন্যায়বিচার পাবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস
এখনও যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান, তার মধ্যে রয়েছে:
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা করে দুদক। এ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তারেক রহমান। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান তিনি। মামলায় অভিযোগ ছিল, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি অর্থ ট্রাস্টের কাজে ব্যবহার করা হয়নি। সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়। এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন
জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত ন্যায় ও ন্যায্যতাই বিজয়ী হয়: তারেক রহমান
মানিলন্ডারিং মামলা
বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত। তবে ওই মামলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
মানহানির মামলা
লন্ডনে ২০১৪ সালে এক সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার ও পাকবন্ধু উল্লেখ করে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ ওঠে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে নড়াইলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
]]>