নতুন বিসিবি সভাপতি যোগদানের পরপরই সাবেক ক্রিকেটারদের বোর্ডের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও ডাকা হয়েছিল এই কর্মশালায়। তবে রিয়াদ যেতে রাজি হননি। আজ কর্মশালার প্রথমদিন পরিদর্শনে এসে রিয়াদের না আসার কারণ জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ প্রস্তুতির জন্য নেপাল-নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজনের চেষ্টায় বিসিবি
আরও কিছুদিন ক্রিকেটে থাকার ইচ্ছা থেকেই রিয়াদ ম্যাচ রেফারির কর্মশালায় যাননি বলে জানিয়েছেন মিঠু, ‘তার কথা হচ্ছে আমি আরও কয়েকদিন খেলব...ও (মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ) আরও কয়েকদিন স্থানীয় লিগ খেলতে চায়। আমার সাথে ওর কথা হয়েছে... ক্যারিয়ার শেষ হলে এটা শুরু হবে। খেলোয়াড়ি জীবনে তো আপনি ম্যাচ রেফারি হতে পারবেন না। সে জন্য কোর্সে আসেনি।’
এদিকে, আন্তর্জাতিক মানের ম্যাচ রেফারি তৈরির জন্য এবার ভিন্নভাবে কর্মশালা আয়োজন করেছে বিসিবি। এবারের কর্মশালায় যোগ দেয়া ৩০ ক্রিকেটারই ছিলেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলা। এর ব্যাখ্যায় জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রাকিবুল হাসান জানান, জাতীয় দলের কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা কোনো ক্রিকেটার ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকলে ক্রিকেটাররা সমীহ করেন। সে কারণেই বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত
আরও পড়ুন: মিরপুর সিরিজ এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতেও রাখতে পারে কার্যকরী ভূমিকা, কীভাবে?
রাকিবুল বলেন, ‘ম্যাচ রেফারির দুই-একটা কোর্স আমাদের হয়ে গেছে। কিন্তু এবার আমরা যেটা করলাম মিঠু, আমি এবং আমাদের সভাপতি মিলে—আপনাকে জাতীয় দলের কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা খেলোয়াড় হতে হবে। কারণ একটা খেলোয়াড় যখন খেলতে নামে এবং সে যখন দেখে তাঁর আম্পায়ার সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার—তখন আম্পায়ারের প্রতি তাঁর সম্মান বেড়ে যায় এবং আম্পয়ারকে সে তখন সমীহ করে। ম্যাচ কন্ট্রোল করতে তখন প্রথম থেকেই একটা বাড়তি সুবিধা থাকে।’
এদিন কর্মশালা পরিদর্শনে বিসিবিতে এসেছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং বোর্ড পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
]]>