দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটি কিছুটা আশা দেখালেও মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। দুই ওপেনার ছাড়া বাকিদের কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান অভিষেক শর্মা। পরের বলে আবারও বাউন্ডারি। তবে ম্যাচ জিতিয়ে বের হতে পারলেন না বাঁহাতি এই ব্যাটার। জুনাইদ সিদ্দিকীর বলে হায়দার আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ৩০ রান।
আরও পড়ুন: জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের লেভেল-টু কোচিং কোর্স করাতে চান বুলবুল
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২ বল খেলেই ম্যাচ শেষ করেন সূর্যকুমার যাদব। তার ব্যাট থেকে আসে ২ বলে ৭ রান। অপর প্রান্তে ৯ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন শুভমান গিল।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা ভালো খেলার আভাস দেন দুই ওপেনার আলিশান শারাফু ও মুহাম্মদ জোহাইব। উদ্বোধনী জুটি থেকে তারা যোগ করেন ২৬ রান। তবে বুমরাহ’র বলটা আর আটকাতে পারলেন না শারাফু। ১৭ বলে ২২ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান এই ওপেনার।
অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে যোগ দেন জোহাইব। তবে তিনিও টিকতে পারলেন না বেশিক্ষণ। স্কোরবোর্ডে আর ৩ রান যোগ হতেই তাকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন কুলদীপ যাদব। ৫ বলে ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিসিবির কাছে অনাপত্তিপত্র চেয়েছেন তাইজুল-মোস্তাফিজ
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তোলার চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। তবে তাকেও এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেললেন কুলদীপ। ২২ বলে ১৯ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেই অধিনায়ক।
এরপরই আমিরাতের ব্যাটিং অর্ডারে নামে ধ্বস। কুলদীপের ঘূর্ণিতে যেন চোখে সরষে ফুল দেখতে থাকেন ব্যাটাররা। বল হাতে তার সঙ্গে যোগ দেন শিভম দুবে।
রাহুল চোপড়া আউট হন ৩ রান করে। আসিফ খান ও হার্শিত কৌশিক করেন ২ রান করে। বাকি চারজন করেন ১ রান করে। জুনাইদ সিদ্দিকী আউট হন কোনো রান না করেই। শেষ পর্যন্ত ১৩.১ ওভারে মাত্র ৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় আমিরাত। ভারতের হয়ে কুলদীপ নেন ৪ উইকেট, শিভম দুবে নেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া ভরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেল ও বুমরাহ নেন ১টি করে উইকেট।
]]>