আমার মনে হতো আমি আর দেশে ফিরতে পারব না: তুহিন

নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বলেছেন, পৃথিবীতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট নারী জুলুমবাজ আছে কিনা আমার জানা নেই। তারা চিন্তা করেছিল ২০৪২ সাল পর্যন্ত নাকি ক্ষমতায় থাকবে, আর বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নাকি কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আজকে তাদের অস্তিত্ব কী বাংলার মানুষ জানে।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী যাওয়ার পথে সৈয়দপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ স্মরণী মোড়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের এক পথসভায় ও নীলফামারী শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গণসংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর বিএনপির লড়াই সংগ্রাম ও তরণদের আন্দোলনে এ স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। মাঝে মাঝে আমার মনে হতো আমি আর দেশে ফিরতে পারব না। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোওয়ায় আজ দেশে আসতে পেরেছি।’


এর আগে গত ২২ এপ্রিল দুপুরে যুক্তরাজ্য থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। তুহিন ২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তুহিন। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: করিডর বা বন্দরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার: তারেক রহমান

তৎকালীন সেনাশাসন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ফিরতে চাইলেও রাজনৈতিক বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এমনকি একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তও হন তিনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি অনুযায়ী এগুলো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা। তুহিনের প্রত্যাবর্তনে ডোমার-ডিমলা অঞ্চলে বইছে আনন্দের জোয়ার। 


নেতাকর্মীরা বলছেন, তুহিন ভাই ছিলেন এলাকার উন্নয়নের প্রধান কারিগর। তার হাত ধরে কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ, বাঁধ নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন উন্নয়ন ও বেকারত্ব নিরসনে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয় ।


সৈয়দপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলহাজ আব্দুল গফুর সরকার। এতে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। 

আরও পড়ুন: আ.লীগের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন

সভাটি পরিচালনা করেন, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন, নীলফামারী গণ র্সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার। জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়।

]]>