আমতলীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১৫

৪ সপ্তাহ আগে
বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভা শেষে পদ–পদবি নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলার তালুকদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানান, আগামী ১৭ জুলাই চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তালুকদার বাজার সংলগ্ন একটি মাদ্রাসায় ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সভার একপর্যায়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা সালাম মল্লিক ও হাসান বয়াতির মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। আর এ ঘটনা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসান বয়াতির ভাইয়ের ছেলে সোহাগ বয়াতিকে সালাম মল্লিকের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সোহাগের বাবা ইদ্রিস বয়াতি ঘটনাস্থলে গেলে পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় আহতরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে তালুকদার বাজার চৌরাস্তায় ফের আরেক দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।

 

আরও পড়ুন: পাবনায় যুবদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ, দুই গ্রুপের উত্তেজনা

 

আহতদের মধ্যে ইদ্রিস বয়াতি (৪০), সাগর (১৫), আল মামুন (২৬), সোহাগ বয়াতি (২১), ইমরান মাতুব্বর (১৮), হিরণ মৃধা (২৩), হাসান বয়াতি (৩২), শাহীন মল্লিক (২৫), সালাম মল্লিক (৫২), নুর আলম মল্লিক (২১) ও আসিফ মল্লিক (২২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

সংঘর্ষে আহত হাসান বয়াতি অভিযোগ করে বলেন, সালাম মল্লিক দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ করেছেন। এখন তিনি বিএনপির পদ দাবি করছেন। আমার ভাইয়ের ছেলে এর প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করা হয়।

 

অন্যদিকে সালাম মল্লিক দাবি করে বলেন, 

আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা বলায় কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়।

 

এ বিষয়ে চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. রেজাউল করিম পান্না বলেন, প্রস্তুতি সভা শেষে পদ-পদবি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষেরই একাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ২০

 

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন