ফাইল- আফ্রিকার একজন সাংবাদিক তার ক্যামেরায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর ছবি তোলেন। শি জিনপিং বেইজিং-এর গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে চীন আফ্রিকা ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্লেষকরা বেইজিং-এর সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে পণ্যের জন্য আগামী মাসে শুল্ক প্রত্যাহারের চীনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে বেইজিং-এর চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের ২০২৪ শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন।
বিশ্লেষকরা এটিকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য খুব বেশি সুবিধা বয়ে না এনে আফ্রিকায় চীনের প্রভাব বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
ঘানায় অবস্থিত আফ্রিকান সেন্টার ফর ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশনের গবেষণা, নীতি ও কর্মসূচির পরিচালক ইমানুয়েল ওউসু-সেকিয়েরে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আফ্রিকার সুপরিচিত কাঠামোগত সমস্যার কারণে এই পদক্ষেপ যে উত্তেজনা সৃষ্টি করা উচিত ছিল তা তৈরি করতে পারেনি।”
বিশ্লেষকরা একে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বেইজিং-এর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। ইউএস আফ্রিকান গ্রোথ এন্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট ৩২টি সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশের ১ হাজার ৮শো পণ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়। আগামী বছর এটি নবায়নের সময় হবে।তারা বলছেন, মানবাধিকার বা গণতন্ত্র ও মুক্ত বাজারের অভাবের মতো কারণে এজিওএ থেকে নিষিদ্ধ আফ্রিকার কিছু দেশের অসন্তোষের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে চীন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হে ইয়াংকিয়ান বলেন, এই উদ্যোগ এলডিসি’র রপ্তানি বাড়িয়ে তুলবে। তিনি বলেন, এটি গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর মধ্যে সংহতি ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করবে এবং ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের’ লক্ষ্যকে এগিয়ে নেবে।
তিনি বলেন, চীন, ইথিওপিয়া, বুরুন্ডি, গ্যাবন ও জিম্বাবুয়েসহ ২২টি আফ্রিকান দেশের সাথে অভিন্ন উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
তবে ওউসু-সেকিয়ের ভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, “আফ্রিকার দেশগুলো কৌশলগতভাবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো এশিয়ার উৎপাদন ভ্যালু চেইনে নেই। কৌশলগত অবস্থান ও পরিকল্পনার অভাবের পাশাপাশি কাঠামোগত বাধার কারণে আফ্রিকার দেশগুলোর পক্ষে এই পরিকল্পনার সুবিধা নেয়া কঠিন করে তুলবে।”