আফগানিস্তানে তহবিল হ্রাস 'নারীদের সহায়তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি', বলেছেন এক ত্রাণ প্রধান

১ সপ্তাহে আগে
তহবিল হ্রাস আফগানিস্তানের নারীদের সহায়তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির একটি শীর্ষ ত্রাণ সংস্থার প্রধান। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল জ্যান এগেল্যান্ড বলেন, আফগানিস্তানে বেসরকারি সংস্থাগুলোর আর্থিক সহায়তা ও মানবিক সহায়তা কমে যাওয়ায় নারী ও বালিকারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০২২ সালের এনআরসি ৭ লাখ ৭২ হাজার ৪৮৪ জন আফগানকে সহায়তা করেছে। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৩৫ জনে। গত বছর সহায়তা সংস্থাটি ২ লাখ ১৬ হাজার ৫০১ জনকে সহায়তা করেছে। এই সুবিধাপ্রাপ্তদের অর্ধেক হলো নারী। ২০২১ সাল থেকে বেশ কয়েকবার আফগানিস্তান সফর করেছেন এগেল্যান্ড। তিনি বলেন, “আমরা গত দুই বছরে সমকক্ষ সংগঠনগুলোকে একের পর এক প্রোগ্রামিং ও কর্মী ছাঁটাই করতে দেখছি। আফগান নারীদের সহায়তাকারী কর্মসূচির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে তহবিল হ্রাস। আফগান নারীদের ভবিষ্যৎ সুস্থতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো শিক্ষার অভাব।” ২০২১ সালের আগস্টে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর প্রায় রাতারাতি বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্য ও ক্ষুধার শিকার হয়। দেশটির নতুন শাসকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, ব্যাংক হস্তান্তর বন্ধ এবং আফগানিস্তানের মুদ্রার রিজার্ভে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার জব্দ করার বিষয়গুলো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যাক্সেস এবং যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো বাহিনী প্রত্যাহারের আগে সহায়তা-নির্ভর অর্থনীতিকে সমর্থন করে এমন বাহ্যিক অর্থের প্রবেশগম্যতা বন্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘ ও অন্যরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবরুদ্ধ দেশটিতে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো সংস্থাগুলো পুষ্টি ও টিকাদানসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির মাধ্যমে জনসেবা চালু রাখতে সহায়তা করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের আরোপিত বিধিনিষেধ এবং নারী চিকিৎসা পেশাজীবীদের চলমান ঘাটতির কারণে নারী ও বালিকারা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাপ্রাপ্তিতে আরও বেশি বাধার সম্মুখীন হয়। তালিবানের নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব আরও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এমন অনেক দেশে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে যেখানে তারা স্থানীয় নীতির সাথে একমত নয়। কিন্তু তালিবান নীতির বিরোধিতা এবং সেইসাথে অনেক দেশে ত্রাণ তহবিলের ‘সাধারণ ঘাটতি’ আফগানিস্তানের সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এগেল্যান্ড বলেন, তার সফরে তালিবান কর্মকর্তাদের সাথে তার বেশিরভাগ আলোচনা ছিল নারী ও বালিকাদের ক্লাস পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। তিনি বলেন, “তারা এখনো যুক্তি দেয়, এমন ঘটবে, কিন্তু পরিস্থিতি তৈরি নয়।” তারা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ে তাদের একমত হওয়া প্রয়োজন।
সম্পূর্ণ পড়ুন