সংঘাতে ২৯ জন সৈন্য আহত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে পাকিস্তান আইএসপিআরের বিবৃতিতে।
এছাড়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ‘বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা অনুমান এবং ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন অনুসারে, ২০০ জনেরও বেশি তালেবান এবং অন্যান্য যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যাও অনেক বেশি।’
এর আগে, হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ৫৮ সেনা নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আফগান কর্মকর্তারা।
রোববার (১২ অক্টোবর) তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক এক্স পোস্টে বলেন, আফগান বাহিনী বিপুল পরিমাণ পাকিস্তানি অস্ত্রও দখল করেছে। অভিযানে তালেবান বাহিনীরও ২০ জনের বেশি সদস্য নিহত কিংবা আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারী অস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে আফগানিস্তান: রিপোর্ট
এদিকে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আফগানিস্তান ট্যাঙ্ক ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের বরাত দিয়ে রোববার (১২ অক্টোবর) এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। প্রতিবেদন অনুসারে, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পাকিস্তান সীমান্তের দিকে যাচ্ছে ভারী যুদ্ধাস্ত্র ও ট্যাঙ্ক।
এতে বলা হয়, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (আফগান) পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কুনার প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় ট্যাঙ্ক এবং ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে।’
অন্যদিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরান। উভয় পক্ষকে একে অপরের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার এবং আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে ইরানের বার্তা
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেছেন, তেহরান উভয় দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
উত্তেজনা নিরসনে এবং আরও সংঘাত ঠেকাতে, ইসলামাবাদ ও কাবুলকে সংযম প্রদর্শন ও অবিলম্বে সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন বাঘাই।
তিনি আরও বলেন, ইরান দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান
]]>