আন্দোলন দমাতে চূড়ান্ত বলপ্রয়োগ, স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে

২২ ঘন্টা আগে
আজ ১৩ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে গত বছরের এই দিনে সরকারের তরফ থেকে শুরু হয় মামলা-হামলা। সংস্কারের দাবির সঙ্গে প্রতিবাদের ক্ষোভ তখন শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে। যাতে সায় দিয়ে মাঠে নামতে শুরু করে গোটা দেশের ছাত্রসমাজ। যাদের মধ্যে অনেকে সরকারি চাকরির প্রত্যাশা থেকে নয়, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের মশাল ধরতেই শামিল হয়েছিলেন জুলাই আন্দোলনে।

এই দিন সারা দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনলাইন এবং অফলাইনে বৈঠক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরপর কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন ১৪ জুলাই, গণপদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতি বরাবর এই স্মারকলিপি দেয়ার কথা জানান শিক্ষার্থীরা।

 

একই সময়ে আন্দোলনে থাকা সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও গণপদযাত্রা করে নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ডিসির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, মামলা দিয়ে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করছে সরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা

 

একই দিন দুপুরে কোটা আন্দোলনের ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

 

আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ বিজয়কে করে সহজ

 

অন্যদিকে দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর গণ–আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

 

সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকে দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই।

 

দিনের পর দিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীরা বারংবার তাদের দাবি মেনে নেয়ার তাগিদ দিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি শেখ হাসিনা সরকার।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন চলার পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। ফলে চূড়ান্ত বিজয় হয় ছাত্র-জনতার। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন