আন্দামান সাগরে বন্দর আর জ্বালানি প্রকল্প নিয়ে রাশিয়ার সাথে মিয়ানমারের স্মারক চুক্তি সাক্ষর

২ সপ্তাহ আগে
মিয়ানমার ও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া বিনিয়োগ সহযোগিতার একটি স্মারক চুক্তিতে সাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে দাওয়েইতে বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে একটি বন্দর ও একটি তেল পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হবে। রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সফররত রুশ প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে এই নথিতে সই করেন রুশ মন্ত্রণালয়ের প্রধান ম্যাক্সিম রেশেৎনিকভ ও মিয়ানমারের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক দপ্তরের মন্ত্রী কান যাউ। “স্মারকলিপিতে কয়েকটি বড় আকারের অবকাঠামো এবং জ্বালানি প্রকল্পের মৌলিক প্যারামিটার দেয়া আছে, যেগুলো রাশিয়ার কোম্পানির সাথে যৌথভাবে মিয়ানমারে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে,” রুশ মন্ত্রণালয় রেশেৎনিকভকে উদ্ধৃত করে বলে। “আমরা একটি বন্দর, একটি কয়লা-চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি তেল শোধনাগার নির্মাণের কথা বলছি।” তিনি যোগ দেন যে, “তেল শোধন এখনো সবচেয়ে জটিল বিষয়,” এবং শোধনাগার নির্মাণের ব্যাপারে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। “মিয়ানমারের দিক থেকে একটি শোধনাগার পাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আমাদের কোম্পানিগুলো এখনো সেরকম প্রকল্পের আর্থিক দিক খতিয়ে দেখছে। আর্থিক দিক থেকে এই প্রকল্প খুবই জটিল,” ইটারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থা রেশেৎনিকভকে উদ্ধৃত করে জানায়। রুশ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দাওয়েইর বিশেষ অর্থনৈতিক জোনটি আন্দামান সাগরে ১৯৬ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে অবস্থিত। সেখানে উন্নত-প্রযুক্তির শিল্প জোন ও যোগাযোগকেন্দ্র, তথ্যপ্রযুক্তি জোন ও রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ জোন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। অং সান সুকি’র নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে  সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করার পর রাশিয়া মিয়ানমারের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। মস্কো ও নেপিদোর মধ্যে জ্বালানি খাতে আরও বলিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে, যার মধ্যে মিয়ানমারের মূল শহর ইয়াঙ্গুন থেকে একটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের কাজে রাশিয়ার অংশগ্রহণও অন্তর্ভুক্ত। একই সঙ্গে দেশটিতে পারমাণবিক চুল্লি নিয়ে গবেষণার পরিকল্পনাও আছে রাশিয়ার।
সম্পূর্ণ পড়ুন