আনন্দ শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি

৫ দিন আগে
বাংলা বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। শোভাযাত্রায় কেউ হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, কেউবা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা পোস্টার ও ব্যানার বহন করছেন। এছাড়া, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শোভাযাত্রায় তৈরি করা হয়েছে একটি বৃহৎ তরমুজের ফালির মোটিফ।

আয়োজকরা জানান, তরমুজ ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতিরোধ ও অধ্যবসায়ের প্রতীক। ফলটির বাইরের সবুজ ও ভেতরের লাল, সাদা, কালো রঙ ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের সঙ্গে মিলে যায়-এ কারণে এটি তাদের সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাই এবারের শোভাযাত্রায় অন্যান্য মোটিফের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তাদের প্রতীক হিসেবে তরমুজের মোটিফ রাখা হয়েছে।


‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রাটি সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর ঘুরে পুনরায় চারুকলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।


শোভাযাত্রায় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি এবং ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়। এবারের শোভাযাত্রার মূল মোটিফ ছিল ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’। এর পাশাপাশি দেখা গেছে পায়রা, মাছ, বাঘ ও আলোচিত ‘মুগ্ধর পানির বোতল’-এর প্রতীকী উপস্থাপনাও।


ঐতিহ্যের ধারায় সুর, কাব্য আর কথামালায় নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানালো বাংলাদেশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফুটতেই ছায়ানটের আনুষ্ঠানিকতায় রমনা বটমূলে সুর-লহরীতে বরণ করা হয় নতুন সূর্য।


এবারের মূল বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। অতীতের অশুভকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরে সবার চাওয়া-বিভেদ-অশান্তি ঘুচে দৃঢ় হোক সম্প্রীতির বন্ধন। এ আয়োজনের প্রকাশ পায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার বার্তাও।


আরও পড়ুন: শোভাযাত্রায় দৃষ্টি কেড়েছে ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ও ‘পানি লাগবে পানি’


সকাল ৯টায় ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতে অংশ নেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী এবং নানা বয়সি মানুষ। 


এতে অংশ নেন জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানিসহ নানা দেশের পর্যটক ও শিক্ষার্থীরাও। কেউ গলায় বাঁশি ঝুলিয়ে বাজাচ্ছেন, কেউ আবার লাল-সাদা শাড়ি-পাঞ্জাবিতে বাঙালির সাজে ঢুকে পড়েছেন।


আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীতে শেষ হলো ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান


শোভাযাত্রায় মুখোশ, পাপেট, বাঁশের তৈরি বাঘ, পাখি, মাছসহ নানা বিশালাকৃতির শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতিনির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন