শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে আদিবাসী শিক্ষার্থী ও সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা জানান তারা।
বক্তারা বলেন, নিজ দেশের ভেতরের শত্রুকে চিহ্নিত করলেই জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে। এছাড়াও আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সময় পুলিশ নীরব থাকলেও, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ কেন আক্রমণ করলো, সেই প্রশ্নও তোলেন আহত শিক্ষার্থীরা।
পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে মশাল মিছিল বের করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
এর আগে গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাতিলের দাবি এবং এর বিরোধিতা করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নারীসহ কয়েকজন আহত হন এবং পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তকে গ্রাফিতি: এনসিটিবির সামনে আদিবাসী ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় আহত ২০
প্রত্যক্ষদর্শীরা ওইদিন জানান, ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয় ঘেরাও করতে যায়। সেখানে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ ব্যানারের একটি দলের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে।
তারা আরও জানান, সংঘর্ষে নারীসহ কয়েকজন আহত হন এবং তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানব ব্যারিকেড ভেঙে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আব্বাস ও আরিফ আল কবির নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।