বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সোহাগের মরদেহ উত্তোলন করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূশফিকীন নূরের তত্ত্বাবধানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রহিছ উদ্দিন, ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তালুকদার, ভীমখালী ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, শহীদের বাবা আবুল কালাম, ভাই শুভ মিয়া প্রমুখ।
গত বছরের ৬ আগস্ট ময়নাতদন্ত ছাড়াই সোহাগের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে পুনরায় উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে শহীদ সোহাগের বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘তদন্তের সুবিধার্থে আদালতের নির্দেশে আমার ছেলে সোহাগের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে বাস, নিহত ২
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় সোহাগকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।’
উল্লেখ্য, গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের খবরে ঢাকার রাজপথে ও পাড়া-মহল্লায় বিজয় মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে অংশ নেন জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের দুই সহোদর মো. সোহাগ মিয়া ও শুভ মিয়া। মিছিলে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন সোহাগ মিয়া। পরদিন ৬ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

১ সপ্তাহে আগে
৪








Bengali (BD) ·
English (US) ·