আত্মবিশ্বাস নিয়েই বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

১ সপ্তাহে আগে
দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছে দুবার, তবে এশিয়ান কাপে নিজেদের এখনও সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। এবার সেই সুযোগটা অবশ্য হাতছাড়া করতে চাইবে বাংলাদেশ। কেননা, বাংলাদেশ কোচ পিটার জেমস বাটলার আত্মবিশ্বাসী, কৌশলীও। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে বললেন, মেয়েরা সেরাটা নিংড়ে দিলে বাছাইয়ের বাধা ডিঙানো সম্ভব।

উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের ইয়াংগুনে ম্যাচটি শুরু হবে রোববার (২৯ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। 

 

গ্রুপের তিন দলের মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮তম। তাদের পেছনে আছে কেবল তুর্কমেনিস্তান, তাদের অবস্থান ১৪১তম। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাহরাইনের অবস্থান ৯২তম। তবে তাদের চেয়েও এগিয়ে আছে মিয়ানমার, তাদের অবস্থান ৫৫তম। 

 

বাছাই পর্ব উতরানো বাংলাদেশের জন্য মোটেও সহজ কাজ হবে না। মূল পর্বের টিকিট পেতে হলে ঋতুপর্ণাদের হতে হবে গ্রুপের সেরা। কেননা, বাছাই পর্বের ৮ গ্রুপের সেরা ৮টি দলই পাবে মূল পর্বের টিকিট।   

 

তবে কাজটা কঠিন হলেও বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসের সুর। শনিবার (২৮ জুন) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আত্মবিশ্বাস নিয়েই কথা বললেন এই ইংলিশ কোচ। ‘আমরা একটা প্রকল্পের মধ্যেই তিনটা কার্যক্রম চালাচ্ছি। জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৭ ও ২০ দল। আমাদের ফ্যাসিলিটিজ কম। এ কারণে তিনটা গ্রুপের কার্যক্রম একসাথে চলছে। সিনিয়র দলে ৫০ শতাংশ খেলোয়াড়ই অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সী। ফলে আমাদের পাইপলাইনটা ভালো আছে, বয়সভিত্তিক দলের মেয়েরাও খেলতে পারে জাতীয় দলে। ফ্যাসিলিটিজ কম থাকলেও আমরা ইতিবাচক।’ 

 

আরও পড়ুন: রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ পেলো জুভেন্টাস

 

‘সীমিত সুবিধার মধ্যেই ফেডারেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে উপরে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচের আয়োজন করেছিলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট সবাই পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে শুরু করতে চায়।’ 

 

প্রতিপক্ষ তিন দলকে বিশ্লেষণ করেছেন বাটলার। তার বিশেষ দৃষ্টি শারীরিকভাবে শক্তিশালী বাহরাইনের ওপর। বাকিদের প্রতিও যথেষ্ট সমীহ আছে তার। বাটলার অবশ্য সন্তুষ্ট নিজেদের প্রস্তুতি নিয়েও। 

 

‘আমি মনে করি, ফুটবলে আপনি কোনো দলকে খাটো করে দেখতে পারেন না। যে কোনো দলই আপনার পথ রোধ করে দাঁড়াতে পারে। মিয়ানমার শক্তিশালী, বাহরাইন শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও তরুণ দল, উন্নতি করছে। আমি মনে করি, কোনো দলকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।’ 

 

‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমরা পেশাদার মনোভাব নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি। নিজেদের কাজগুলো করেছি। আমাদের ভিডিও অ্যানালিস্ট সব প্রতিপক্ষ নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে। আমি মনে করি, ফুটবল যে কোনো সময় আপনাকে বিস্মিত করতে পারে।’ 

 

আরও পড়ুন: ক্লাব বিশ্বকাপের ধারণাকে নিকৃষ্ট বলে আখ্যায়িত করলেন ক্লপ

 

বাছাই পেরিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল মঞ্চে খেলার বিস্ময় মেয়েরা জন্ম দিতে পারবে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তর আপাতত তুলে রাখলেন পিটার বাটলার। ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে একেবারেই তরুণদের নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে অনেক কিছু শিখেছে মেয়েরা। ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে ড্র আমাদের জন্য একটা বেঞ্চমার্ক। এই সফরগুলো আমাদের দেখিয়েছে, আমরা কোথায় আছি, আমরা কী করতে পারি।’ 

 

‘আমাদের যে বাছাই পেরুনোর সুযোগ আছে, সেটা আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না। বাংলাদেশ কখনোই কোয়ালিফাই করেনি, তবে আমরা একটা সফরে আছি, ইতিবাচক আছি। নতুনদের দারুণ উন্নতিতে আমি খুবই ইতিবাচক। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। একটার পর একটা ধাপ পেরুনো দিয়েই ভিত তৈরি হয়। সত্যি বলতে, যদি মেয়েরা তাদের সেরাটা দিতে পারে, তাহলে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারি। 

 

বাহরাইন কোচ মোহাম্মেদ আদনান হুসেইন বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো। অল্প সময় অনুশীলন করেছি। তিনটা ম্যাচ খেলেছি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ও সৌদি আরবের বিপক্ষে একটি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে আমরা এখানে আসতে পেরেছি। অভিজ্ঞ ও নবীনের মিশেল আছে আমাদের দলে। আশা করি, আমরা ভালো কিছু মেলে ধরতে পারবো।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন