২০১৪ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস মসুল দখল করলে আল-নুরি মসজিদ আর বিখ্যাত হাদবা মিনারকে গুঁড়িয়ে দেয়। ৮৫০ বছরের পুরানো এই মসজিদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইরাক ও মসুলবাসীদের হাজারো স্মৃতি ও ইতিহাস।
পাঁচ বছর আগে শুরু হওয়া পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউনেসকো আর ইরাকের প্রত্নতত্ত্ব কমিশনের যৌথ তত্ত্বাবধানে ধাপে ধাপে পুরনো গৌরব ফিরে পায় মসজিদটি। গত সোমবার ((৮ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধনে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে ফের ইসরাইলের বিমান হামলা, বহু হতাহত
এর মধ্যদিয়ে ভেঙে পড়া ইতিহাস যেন আবারও জেগে উঠেছে ইরাকে। ১১৭২ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এ মসজিদ যুগে যুগে মধ্যপ্রাচ্যের স্থাপত্য ঐতিহ্যের ধারক হয়ে এসেছে। আজ তা আবারও ইরাকের অতীত ও বর্তমানের সেতুবন্ধনে রূপ নিয়েছে।
মসুলের মানুষের কাছে আল-নুরি শুধু ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার প্রতীক। পুননির্মিত হাদবা মিনারও তাদের কাছে প্রকৃত মুক্তির স্মারক। শহরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় এটিকে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তুতিও চলছে।
]]>