আজ থেকে শুরু জাতীয় দলের ক্যাম্প, শনিবার থেকে অনুশীলন

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের জন্য শুক্রবার (৩০ মে) থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাম্প। শনিবার (৩১ মে) জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশলীলন শুরু করবে লাল-সবুজ বাহিনী। এদিকে, সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে হামজা-সমিতদের জন্য অ্যাওয়ে ম্যাচ আয়োজন করতে চায় বাফুফে। যেখানে প্রতিপক্ষ হতে পারে ইউরোপের কোনো দল। এছাড়া ১২ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে শুরু হবে ঘরোয়া লিগের পরবর্তী মৌসুম। ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে পেশাদার লিগ কমিটি।

১০ জুন বহুল কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ম্যাচ। জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে হোম অভিষেক হতে পারে হামজা, সমিত ও ফাহামেদুলের। আর ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজ দল। 

 

গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচ ছাড়াও বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে বৃষ্টি ভেজা দিনে ফেডারেশন ভবনে হয়েছে তিন সভা। পেশাদার লিগ ও জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি ছাড়াও সভা করেছে বাফুফের নির্বাহী কমিটি। 

 

আরও পড়ুন: আগামী দুই সপ্তাহে দুবার মাঠে নামছে মেসির আর্জেন্টিনা

 

সিঙ্গাপুর ম্যাচের দশ দিন আগেই শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। টিম হোটেলে ম্যানেজার আমের খানের কাছে রিপোর্টিং করবেন ফুটবলাররা। এছাড়া সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে হামজাদের প্রতিপক্ষ নিয়েও হয়েছে আলোচনা। 

 

বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘পহেলা হতে ৯ সেপ্টেম্বর-২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ফিফা টায়ার-১-এর আওতায় আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে। সেটা অ্যাওয়ে হতে পারে এবং হোমও হতে পারে। তবে অ্যাওয়ে হলে সেটা ইচ্ছা আছে ইউরোপের কোনো দেশের সাথে খেলার জন্য।’ 

 

এদিকে, লিগ কমিটির বৈঠক থেকে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ ক'টি সিদ্ধান্ত। ১২ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে শুরু হবে ঘরোয়া লিগের পরবর্তী মৌসুম। ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন নিয়েও এসেছে বিধিনিষেধ। সার্কভুক্ত দেশের ফুটবলাররা খেলতে পারবেন লোকাল প্লেয়ার হিসেবে। 

 

আরও পড়ুন: মায়ামিতে আরও অনেক বছর মেসির সঙ্গে খেলতে চান আলবা

 

তিনি আরও বলেন, ‘প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন ৩৫ জন থাকবে। তার মধ্যে পাঁচজন থাকবে.. আমরা এইজ লিমিট (বয়স নির্ধারণ) করে দিয়েছি, যাদের জন্ম পহেলা জুন ২০০৬ থেকে ৩১ মে ২০০৯। অর্থাৎ অনূর্ধ্ব-২০ পাঁচজন প্লেয়ারকে ৩৫ জনের মধ্যে রাখতে হবে এবং যার মধ্যে একজনকে অবশ্যই একাদশে খেলাতে হবে। আর বিদেশি প্লেয়ারদের মধ্যে আমরা এবার কোটা একটা কমিয়ে এনেছি, আমরা পাঁচজন করেছি। যার মধ্যে তিনজন একাদশে থাকবে এবং চারজন থাকবে স্কোয়াডে। এক বিদেশির পরিবর্তে আরেক বিদেশি খেলতে পারবে। সার্কভুক্ত যেকোনো দেশের প্লেয়ারকে যদি আমরা নেই, সেটা লোকাল প্লেয়ার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’ 

 

বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে জড়িত বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের জন্যও এসেছে নতুন নিয়ম। ঘরোয়া লিগের ম্যাচ চলাকালীন ইসি কমিটি ও বাফুফের বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বাররা থাকতে পারবেন না ডাগআউটে। 

 

বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে পরিবর্তন এসেছে কোচিং প্যানেলেও। গোলকিপিং কোচ হিসেবে আবারো লাল-সবুজেদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিগেল। শনিবার জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায় শুরু হবে জাতীয় দলের অনুশীলন।

]]>