রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট নগরীর একটি ইনডোর মাঠে সিলেট জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, আমাদেরকে অন্যায়ভাবে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। দেশব্যাপী আমাদের নেতাকর্মীদেরকে অমানবিকভাবে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হয়েছে, শহীদ করা হয়েছে। মুসলিম দেশে স্বাভাবিক ধর্ম-কর্ম পালন করাও মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। শহীদদের রক্তের ফোঁটা ও মজলুমের চোখের জলের বিনিময়ে জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার মুক্ত হয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই দেশকে এখন সকলে মিলে গড়তে হবে। কোনো বিভেদ-বিভাজন তৈরি করে এই অগ্রযাত্রাকে থামতে দেয়া যাবে না।
আগামীর বাংলাদেশ গঠনে প্রয়োজনে আগের থেকে আরও বেশি ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে এবং সকল বৈষম্য, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর পর কিশোরগঞ্জে প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলন
তিনি বলেন, সবকিছুর ফায়সালা আমাদের হাতে নেই। কিন্তু যোগ্যতার সবটুকু দিয়ে সত্যকে ধারণ করে সত্যের পক্ষে চেষ্টা চালাতে হবে। আবেগ ও বিবেকের সংমিশ্রণে চলতে হবে। সংযত আবেগই শক্তি।
সিলেট জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, হাফেজ আনওয়ার হোসাইন খান, জেলার সাবেক নায়েবে আমির মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মাশুক আহমদ, জেলা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, জেলা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, জেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর পাবনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বসলো জামায়াতে ইসলামী
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে সৎ ও যোগ্য লোকদের নেতৃত্বে বসাতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর কল্যাণে সকল নেতিবাচক কার্যক্রম পরিহার করতে হবে।
জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কোরআন আমাদের জীবন বিধান। এর সাথে সকলের সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে কুরআনকে প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
]]>