সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, ঢাকামুখী ট্রেনে যাত্রীর ঢল নেমেছে। প্রতিটি ট্রেনই যাত্রীতে ঠাসা। ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা।
শফিক নামের এক ব্যক্তি বলেন, এবার লম্বা ছুটি পেয়েছি। কাল থেকে কাজে যোগ দিতে হবে। আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। যাত্রীর চাপ থাকলেও পরিবার নিয়ে ভালোভাবেই ঢাকা আসতে পেরেছি।’
নিলয় নামের এক চাকরিজীবী বলেন, এবার সরকারি ছুটি বেশি থাকায় অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পেরেছি।
তবে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঈদে ছুটি না পাওয়ায় অনেককে আজও ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। তাদের সংখ্যাও কম নয়। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনই ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ।
এদিকে, ভোর থেকে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এর ফলে সদরঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাঁতিবাজার মোড় থেকে লঞ্চ টার্মিনাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে আটকে আছে অসংখ্য যানবাহন। প্রতিটি গাড়িতে যাত্রীতে ঠাসা। লঞ্চ থেকে নেমে বাসে উঠতে না পেরে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির টানে ‘হাওড় কন্যা’ তাহিরপুরে পর্যটকের ঢল
রবিউল নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বরিশাল থেকে এসেছি। লঞ্চে যাত্রীর চাপ থাকলেও কষ্ট কম হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার অনেকটা ভালোভাবেই এসেছি। তেমন কোনো ঝামেলাই পড়তে হয়নি। তবে ঢাকায় এসে বাসে উঠতে পারছি না। তাই হেঁটেই বাসার উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।’
এছাড়া রাজধানীর সায়েদাবাদে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি দূর-পাল্লার বাস ঢাকায় ঢুকছে। প্রতিটি বাসেই যাত্রীতে ভরা। সবাই বাস থেকে নামার পর স্বস্তি প্রকাশ করছেন। তবে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কমবেশি সবাইকে। আবার গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে বাড়তি ভাড়া নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
]]>