অসময়ে এমন জলাবদ্ধতায় ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা যেমন রয়েছে, তেমনই ধান কাটতে শ্রমিক সংকট ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমরা সরিষা আবাদ করার পর ব্রি-২৯ জাতের ধান লাগাই। এ কারণে ধান পাকতে সময় লাগে। এবার টানা বৃষ্টি আর আগাম বন্যার কারণে ফসলি জমি ডুবে যাচ্ছে। ১০ বিঘার মধ্যে ৫ বিঘার ধান কাটতে পেরেছি। বাকি জমির ধান এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। বিঘা প্রতি সাত-আট হাজার টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলন ভালো হলেও এবার লোকসান গুনতে হবে।’
আরেক কৃষক আশরাফ বলেন, ‘ঋণ করে চাষ করেছিলাম। কিন্তু ফসল কাটার আগেই সব পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন তা কাটতেও পারছি না। আমার সব শেষ হয়ে গেল। পরিবার নিয়ে সারা বছর কীভাবে চলবো, সেটাই এখন ভাবছি।’
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চলনবিল অঞ্চলে ৯৩ ভাগ বোরো ধান ইতোমধ্যে কাটা শেষ হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়া ও হঠাৎ পানি প্রবেশ করায় বিলের নিম্নাঞ্চলের নাবি জাতের ধান কাটা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধান কাটা শেষ হবে।’
তিনি আরও জানান, পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।
কৃষকদের দেয়া তথ্যমতে, চলনবিলের তাড়াশ ও শাহজাদপুর এলাকায় প্রায় ১১৩ হেক্টর ফসল পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া নাটোরের সিংড়া ও গুরুদাসপুর এলাকাতেও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
]]>